অনুব্রত মণ্ডলের দাবি খারিজ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের। — ফাইল চিত্র
চিঠি তিনি লিখেছিলেন। তবে সেটা অনুব্রত মণ্ডল বলেছিলেন বলেই। আনারুল হোসেনকে পদ থেকে সরানো বিতর্কে এমন দাবিই করলেন রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার একটি চিঠি প্রকাশ্যে আসে। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রতকে লেখা সেই চিঠিতে আশিস অনুরোধ করেছিলেন, রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের সভাপতি পদে আনারুলকে রেখে দেওয়া হোক। চিঠির প্রেক্ষিতে অনুব্রত দাবি করেন, আশিস বলেছিলেন বলেই তিনি আনারুলকে সরাননি। এ প্রসঙ্গে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিসের বক্তব্য, চিঠি তিনি লিখলেও কাউকে কোনও পদে রাখা হবে কি না তা দলের জেলা সভাপতির এক্তিয়ারেই পড়ে।
বৃহস্পতিবারের চিঠি-বিতর্ক নিয়ে আশিস বলেন, ‘‘আমি চিঠিটি লিখেছিলাম। কারণ এটা একটি সাংগঠনিক সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে, সভাপতি বদল না করাই ভাল। অঞ্চল সভাপতিরাও চাইছেন না পদ বদল হোক। তখন এটা বলা হয়েছিল, ‘তুমি এটা লিখে দাও।’ তাই সভাস্থলেই ওই চিঠি লেখা। তাঁকে রাখা হবে কি রাখা হবে না এটা সিদ্ধান্ত নেবেন জেলা সভাপতি। এই সিদ্ধান্ত বিধায়ক নেন না।’’
বগটুই-কাণ্ডের আবহে বৃহস্পতিবার আচমকাই প্রকাশ্যে এসেছে আনারুলকে নিয়ে আশিসের লেখা চিঠি। তা নিয়েই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। ওই চিঠিতে আনারুলকে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্যন্ত রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের দলীয় সভাপতি হিসাবে রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। বগটুই-কাণ্ডে আনারুল গ্রেফতারের পর দলের গোপন চিঠি কী ভাবে প্রকাশ্যে চলে এল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ওই চিঠি কী ভাবে সংবাদমাধ্যমের হাতে চলে এল, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনুব্রতও। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমার আশ্চর্য লাগছে এই চিঠিটা আপনাদের হাতে কী করে গেল!’’ চিঠি নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমি আনারুলকে সরাতেই গিয়েছিলাম। ভোটের ফল খারাপ। মানুষজনের অভিযোগ আছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘অন্য ব্লক প্রেসিডেন্টের নাম আশিসদাকে বলতেও বলেছিলাম। তখন আশিসদা আমাকে লিখে দেয়, ‘আমি অনুরোধ করছি, ওকে পঞ্চায়েত পর্যন্ত রাখা হোক। তার দায়িত্ব আমি নেব।’ তখন আমি আর আনারুলকে সরালাম না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy