বগটুই-কাণ্ডে মৃতার শরীরের ৬৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। নিজস্ব চিত্র।
বগটুই-কাণ্ডে আরও এক জনের মৃত্যু হল। সোমবার সকালে রামপুরহাট মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন নাজমা বিবি। রামপুরহাটের বগটুই-কাণ্ডে আট জনের ম়ত্যুর কথা জানিয়েছিল সরকার। পাশাপাশি, আগুনে পুড়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী। তাঁদের মধ্যে নাজমা বিবির মৃত্যু হল সোমবার সকালে।
জানা গিয়েছে, আগুন লাগানোর ঘটনায় ওই মহিলার শরীরের প্রায় ৬৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।ঘটনার দিন থেকেই তিনি রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রবিবার রাত থেকে নাজমার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। তাঁকে রাখা হয় ভেন্টিলেশনে। চিকিৎসকদের সবরকম চেষ্টা সত্ত্বেওসোমবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, মেডিক্যাল টিম সব সময় ছিল। এক্সপার্ট টিমও ছিল। কিন্তু চেষ্টা সত্ত্বেও ফেরানো গেল না ওঁনাকে। তাঁরা আরও জানান, অগ্নিদগ্ধ দুই শিশুকে হয়ত শীঘ্রই ছেড়ে দেওয়া হবে। আর এক জন ২৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছেন। তাঁর চিকিৎসা চলছে।
মৃতার স্বামী রামলাল শেখের কথায়, ‘‘ডাক্তারকে কোনও দোষ দেব না। ওঁনারা চেষ্টা করেছেন। ওঁনারা বলেছিলেন যে কোনও সময় মারা যেতে পারে আমার স্ত্রী। নাজমাও
বলেছিল বাড়ি যেতে পারব না। মেয়েগুলোকে দেখো।’’
প্রসঙ্গত, বগটুইয়ে মৃত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন অসুস্থ নাজমার চিকিৎসার যাবতীয় ভার নেবে রাজ্য সরকার। তাঁকে হেলিকপ্টারে করে কলকাতায় এনে চিকিৎসা করানোর কথা ভাবলেও তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির কথা ভেবে চিকিৎসকেরা রামপুরহাটের হাসপাতালে রাখার পরামর্শ দেন।
অন্য দিকে, সোমবার মৃতদের পরিবারের তরফে মিহিলাল শেখকে সিবিআই তাদের অস্থায়ী অফিসে নিয়ে যায়। সেখানেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয় তৃণমূল নেতা আনারুল-সহ সাত জন অভিযুক্তকে। সূত্রের খবর,এ ছাড়া রামপুরহাট থানার সাসপেন্ডেড আইসি ও এসডিপিও-কে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সবাইকে এক সঙ্গে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চানসিবিআই আধিকারিকরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy