ছবি: সংগৃহীত
জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জল প্রকল্প থেকে বরাদ্দ জলের অর্ধেক মেলে না। তারপরেও শহর জুড়ে বাড়ি ও দোকানে নেওয়া হয়েছে অবৈধ জলের সংযোগ। জল সরবরাহের সমস্যা তৈরি করছে এই অবৈধ জলের সংযোগ। এ বার সেই অবৈধ জলের সংযোগ বন্ধে উদ্যোগী হল পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর পুরসভা।
পুরসভা চাইছে, বাসিন্দারা নিজেরাই যেন অবৈধ জলের সংযোগ কেটে ফেলেন। সে জন্য শহরে প্রচারও শুরু করেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। এই কাজে সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে। না হলে পুরসভা নিজেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে বলে সতর্ক করছে।
রঘুনাথপুরের পুরপ্রধান মদন বরাট বুধবার বলেন, ‘‘অবৈধ ভাবে অনেকেই জলের সংযোগ নিয়েছেন বলে অভিযোগ এসেছে। তাই ওই রকম জলের সংযোগ কাটার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাঁরা অবৈধ ভাবে জলের সংযোগ নিয়েছেন, তাঁরা যাতে নিজেরাই তা কেটে ফেলেন, সে জন্য ঘোষণা করা হচ্ছে। এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।’’
রঘুনাথপুর শহরে জল সরবরাহ করে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। নিতুড়িয়ার লক্ষ্মণপুরের ইন্দো-জার্মান জল প্রকল্প থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে শহরে জল নিয়ে আসা হয়। কিন্তু পুরসভার অভিযোগ, দৈনিক যে পরিমাণ জল সরবরাহ করার কথা, তা পাওয়া যায় না। পুরসভার বাস্তুকার বিজয় মণির দাবি, ‘‘পুরসভাকে দৈনিক ২.১ মিলিয়ন লিটার জল দেওয়ার কথা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের। বাস্তবে জল মেলে তার অর্ধেকের কম।’’ তবে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের এক কর্তার দাবি, গরমে জলের চাহিদা বাড়ে বলে জলের সমস্যা হতে পারে। বছরের বাকি সময়ে অসুবিধা নেই।
এই অবস্থায় শহরের জলের চাহিদা মেটাতে নতুন একটি জল প্রকল্প গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে রঘুনাথপুর পুরসভা। রঘুনাথপুর ২ ব্লকের দামোদরের করগালি ঘাট থেকে জল নিয়ে পুরসভায় সরবরাহ করা হবে। কিন্তু সেই প্রকল্প রূপায়নের কাজ এখন প্রাথমিক পর্যায়ে।
পুরসভা সূত্রের খবর, একে জল কম মিলছে। তার উপরে শুরু হয়েছে ‘জল চুরি’। ইন্দো-জার্মান জল প্রকল্পের পাইপ লাইন থেকে বাড়িতে ও দোকানে অবৈধ ভাবে জলের সংযোগ নিয়েছে অনেকেই। সূত্রের খবর, পুরসভা বৈধ ভাবে জলের সংযোগ দিয়েছে প্রায় ২,৯০০ জন উপভোক্তাকে। কিন্তু তার বাইরে আরও প্রায় দেড়শো জায়গায় অবৈধ ভাবে জল সংযোগ নেওয়া রয়েছে। এই জল চুরির কারণেই যাঁরা বৈধ ভাবে জলের সংযোগ নিয়েছেন, তাঁরা পর্যাপ্ত জল পাচ্ছেন না। শুধু তা-ই নয়, পাম্পের মাধ্যমে অনেকে ছাদের ট্যাঙ্কে জল তুলে নেওয়ায় সঙ্কট আরও ঘনিয়েছে। এর ফলে, পাশের বাড়ি ও রাস্তার ট্যাপকলে জলের ঘাটতি হচ্ছে।
পুরপ্রধান জানান, জল চুরি বন্ধ না করা গেলে শহরে জলের সমস্যা কমানো যাবে না। তাই তাঁরা প্রথমে প্রচার করে বাসিন্দাদের সর্তক করছেন। কাজ না হলে অভিযান চালিয়ে অবৈধ ভাবে নেওয়া জলের সংযোগ কেটে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার কথাও ভাবছেন পুরকর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy