প্রকোপ কমেছে কোভিডের। ক্রমশ শিথিল হচ্ছে বিধিনিষেধ। এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘ দু’বছর পর ফের খুলতে চলেছে বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রভবন। কর্তৃপক্ষের তরফে নোটিস বুধবার দিয়ে জানানো হয়েছে আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে ফের পর্যটকদের জন্যে রবীন্দ্রভবন খুলে দেওয়া হবে।
রাজ্য জুড়ে করোনার প্রভাব শুরু হতেই বিশ্বভারতীতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল রবীন্দ্র ভবন। এরপর প্রায় ২ বছর ১ মাস পর বিশ্বভারতীয় অন্যতম পর্যটক আকর্ষণকেন্দ্র খোলার নোটিস জারি করলেন কর্তৃপক্ষ। করোনা পরিস্থিতি একটু স্বভাবিক হওয়ার পরেই পঠনপাঠন শুরু হয়েছিল বিশ্বভারতীতে। কিন্তু খোলা হয়নি রবীন্দ্রভবন। ফলে, পর্যটকেরা রবীন্দ্রভবনের সংগ্রহশালায় রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত দ্রষ্টব্যগুলি দেখতে পাচ্ছিলেন না। আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছিল বিশ্বভারতীকেও।
প্রসঙ্গত, এই রবীন্দ্রভবনের ভেতরেই রয়েছে উদয়ন গৃহ, উদীচী, পুনশ্চ, কোনার্ক, শ্যামলী বাড়ির মতো নানান দর্শনীয়ে বাড়ি। এ ছাড়া বিচিত্রা বাড়ির দু’টি তলায় রয়েছে সংগ্রহশালা। সেখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রাপ্ত নোবেলের প্রতিকৃতি, পৃথিবীর নানা দেশ থেকে পাওয়া বিভিন্ন স্মারক এবং তাঁর ব্যবহৃত অন্য নানা সামগ্রী রাখা রয়েছে।
রবীন্দ্রভবনে প্রবেশের জন্য ছাত্রদের ১০ টাকা, ভারতীয়দের ৭০ টাকা, সার্ক দেশগুলির নাগরিকদের জন্য ৩০০ টাকা এবং অন্য বিদেশিদের জন্য মাথাপিছু ৫০০ টাকা প্রবেশমূল্য লাগে। পর্যটকদের মাথা পিছু টিকিটের অর্থ ও রবীন্দ্রভবনের পুস্তক বিপণীর বই বিক্রির অর্থ মিলিয়ে দৈনিক মোটা অঙ্কের টাকা জমা হয় বিশ্বভারতীর তহবিলে। গত ২৫ মাস ধরে সেই আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন কর্তৃপক্ষ।