আধার সংযোগের জন্য দীর্ঘ লাইন। সিউড়ির রবীন্দ্রপল্লিতে একটি গ্যাস এজেন্সির অফিসের সামনে। নিজস্ব চিত্র।
আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রান্নার গ্যাস সংযোগের সঙ্গে আধার নম্বর যুক্ত করতে হবে। হাতে কয়েক দিন সময়। ফলে, ভিড় বাড়ছে গ্যাস এজেন্সির অফিসগুলির সামনে। কিন্তু অনলাইনের সার্ভার মাঝেমধ্যে বসে যাওয়ায় ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে গ্রাহকদের। ৩-৪ ঘণ্টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে তাঁদের৷ বিশেষ করে প্রবীণদের সমস্যা হচ্ছে।
বুধবার ছিল কাজের দিন। এ দিন দুপুরেও সিউড়ির রবীন্দ্রপল্লি এবং লালকুঠি পাড়ার দু’টি গ্যাস এজেন্সির অফিসে ছিল উপচে পড়া ভিড়। লাইনে ছিলেন প্রবীণেরাও। মৌসুমী সিংহ নামে সিউড়ির ডাঙালপাড়ার এক বাসিন্দা বলেন, “আমার মেয়ের নামে গ্যাসের সংযোগ আছে। কিন্তু ওর ছোট বাচ্চা থাকায় ওঁর পক্ষে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব নয়। তাই প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে আমিই দাঁড়িয়ে আছি।”
সিউড়ির কেন্দুয়ার ৬৯ বছরের তপন সরকার বলেন, “সকাল ৮.৩০ থেকে দাঁড়িয়ে আছি। লিঙ্ক নেই বলে লাইনও এগোচ্ছে না। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ না হলে যদি গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়া বন্ধ করে দেয়, তাই কষ্ট সহ্য করেও দাঁড়িয়ে আছি। গ্যাস এজেন্সিগুলির উচিত কোনও বিকল্প ব্যবস্থা করা।” সিউড়ির ডাঙালপাড়ার বাসিন্দা ৭১ বছরের অন্নপূর্ণা দাস বলেন, “মঙ্গলবার এক বার এসে ঘুরে গিয়েছি। এ দিন আবার এলাম। এ ভাবে বুড়ো বয়সে শাস্তি দেওয়ার কী মানে, বুঝতে পারছি না।”
এ নিয়ে বিভ্রান্তি যে রয়েছে তা স্বীকার করে রবীন্দ্রপল্লির এক গ্যাস এজেন্সির ম্যানেজার বলদেব কর্মকার বলেন, “আমাদের কাছে কোনও লিখিত নির্দেশিকা নেই। এখন লম্বা লাইন রয়েছে কারণ সার্ভারের লিঙ্ক নেই। লিঙ্ক না থাকলে আমাদেরও তো কিছু করার নেই।” তবে এত লম্বা লাইন সত্ত্বেও এখনও বেশিরভাগ গ্রাহকেরই সংযোগ হয়নি বলে জানান তিনি। বলদেব বলেন, “আমাদের প্রায় ১৫ হাজার গ্রাহক আছেন, যার মধ্যে ৪ হাজারের মতো গ্রাহকের আধার সংযোগ হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy