Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Visva Bharati University

বাংলাদেশ ভবনের হাল নিয়ে প্রশ্ন

বিশ্বভারতীর শিক্ষক-কর্মী-পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বাংলাদেশের ভবনের সামনের বিভিন্ন অংশ জীর্ণ হয়ে পড়েছে।

বেহাল দশা বাংলাদেশ ভবনের। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী

বেহাল দশা বাংলাদেশ ভবনের। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী

বাসুদেব ঘোষ 
শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৬:৫৭
Share: Save:

বাংলাদেশ ভবনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্‌যাপন হল। অথচ সেই ভবনেরই রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন উঠল মঙ্গলবার। বেহাল দশা চোখে পড়ল উপস্থিত অনেকেরই। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হওয়া ভবনের মাত্র কয়েক বছরে এমন হাল কেন হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে সমাবর্তনের দিন বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করেন সে-দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে দিন উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় বিশ্বভারতীর জমিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রায় ২৫ কোটি টাকা দিয়ে তৈরি হয় ভবনটি। গ্রন্থাগার এবং সংগ্রহশালা ছাড়াও ৪৫৩ টি আসনের একটি প্রেক্ষাগৃহ, ৩৫০ আসনের সেমিনার হল এবং ১০৮ আসনের ক্যাফেটেরিয়া গড়ে তোলা হয় ভবনের ভিতরে। ভবনটি উদ্বোধনের পরেও কিছু কাজ বাকি থাকায় তখন পর্যটকদের জন্য তা খুলে দেওয়া সম্ভব হয়নি। মাঝে কিছুদিন সর্বসাধারণের জন্য খোলা হলেও করোনাকালে পুনরায় তা বন্ধ হয়ে যায়। যা এখনও চালু করা হয়নি।

বিশ্বভারতীর শিক্ষক-কর্মী-পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বাংলাদেশের ভবনের সামনের বিভিন্ন অংশ জীর্ণ হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয়, ভবনের বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরা থেকে শুরু করে চাঙরও খসে পড়়ছে বিভিন্ন জায়গা। ভবনের ভিতরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাও কার্যত বিকল বলে একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।

যদিও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবি, অতিমারি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরে পরেই তাঁদের তরফে সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে, বাংলাদেশ সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত ভবন সংস্কারের জন্য তহবিল না-আসায় রক্ষণাবেক্ষণের সব কাজ শুরু করা যায়নি। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিরা ভবনটি দেখে গিয়েছে। দ্রুত যাতে সংস্কার করা যায়, তার জন্য আমরা সব রকম চেষ্টা করছি।”

ভবন যেমনই থাক, এ দিন অবশ্য সাড়ম্বরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে সেখানে। মঙ্গলবার সকাল আটটা নাগাদ আন্তর্জাতিক অতিথিসদন থেকে বাংলাদেশ ভবন পর্যন্ত একটি পদযাত্রার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। পদযাত্রা শেষে বাংলাদেশ ভবনের সামনে শহিদ বেদিতে মাল্যদান এবং পুষ্পার্ঘ নিবেদন করেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য নিয়ে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য। দ্বিতীয় পর্যায়ের মূল সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি বিকেলে রামকিঙ্কর মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়। সেই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশ এবং বিভিন্ন ভাষাভাষী ছাত্রছাত্রীরা যোগ দেন। ভাষা শহিদদের স্মরণ করে এ বারও বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীদের একটি বিশেষ পরিবেশনা তুলে ধরা হয়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy