পাথর খাদানের ধার থেকে মঙ্গলবার উদ্ধার হওয়া কিশোরীর পরিচয় জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বছর সতেরোর মেয়েটি ঝাড়খণ্ডের শিকারিপাড়া থানা এলাকার একটি গ্রামের বাসিন্দা। সে দিদির বাড়িতে গিয়েছিল বলে পরিবারের দাবি।
মঙ্গলবার সকালে ওই নাবালিকাকে রামপুরহাট থানার ঠাকুরপুরা গ্রাম সংলগ্ন একটি পাথর খাদানের ধারে অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশে খবর দিলে স্থানীয় শালবাদরা পাথর ব্যবসায়ী মালিক সমিতির অ্যাম্বুল্যান্সে করে মেয়েটিকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার মাথা, হাত সহ শরীরের নানা জায়গায় আঘাতের চিহ্ন। বর্তমানে রামপুরহাট মেডিক্যালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে তার চিকিৎসা চলছে।
বুধবার সকালে ওই নাবালিকার বাবা, মা সহ পরিবারের লোকজন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসেন। পরিবার জানায়, শনিবার ওই কিশোরী মাসতুতো দিদির বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। কিশোরীর জামাইবাবু বলেন, ‘‘সোমবার সকালে আমি কাজে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। দুপুরে স্ত্রী স্নান করতে গিয়েছিল। সেই সময় ও কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ি ফেরেনি দেখে আমি ওর বাবাকে ফোন করে সব জানাই। মঙ্গলবার দুপুরে টিভিতে খবর দেখে ওর খোঁজ শুরু করি। পরে রামপুরহাট থানায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ও রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি আছে।’’
মাসতুতো দিদির গ্রাম থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে ঠাকুরপুরা পাথর খাদানের ধারে কেন পাওয়া গেল ওই নাবালিকাকে, তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারেছেন না পরিবারের সদস্যেরা। কিশোরীর বাবা মা দাবি করেন, এক বছর আগে তাঁদের মেয়ে গ্রামের একটি ছেলের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিল। পরে অত্যাচার সহ্য করতে না-পেরে বাড়ি পালিয়ে আসে। তারপর থেকে গ্রামের বাড়িতে থাকত। পরিবারের সন্দেহ, সেই যুবক ওই নাবালিকাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করে খাদানের ধারে অচৈতন্য অবস্থায় ফেলে দিয়ে থাকতে পারে।
রামপুরহাট থানায় মেয়েটির বাবা অভিযোগ দায়ের করেছেন। কারও নামে অভিযোগ করেননি। পুলিশের অনুমান, পিকনিক করতে গিয়ে পড়ে মাথায় মারাত্মক ভাবে আঘাত পেয়েছে কিশোরীটি। পুলিশ গোটা ঘটনা শিকারিপাড়া থানাকে জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy