থেকেও যেন নেই। অভিযোগ, আঁকরো স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিষেবা মেলে দিনে ঘণ্টা দু’য়েক। —প্রদীপ মাহাতো।
• বোরো বাজার এলাকায় থানা, ব্লক অফিস-সহ নানা কিছু রয়েছে। কিন্তু কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্র নেই। আপদে বিপদে স্থানীয় বাসিন্দাদের দূরে ছোটাছুটি করে হয়রান হতে হয়। এই এলাকায় স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির কোনও পরিকল্পনা রয়েছে কি?
সুমিতা কালিন্দি, কালিন্দিপাড়া
সভাপতি: এই সমস্যার কথা পঞ্চায়েত সমিতি জানে। এই এলাকা থেকে ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। সামান্য অসুখেও ৭ কিলোমিটার দূরে বসন্তপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা ১৮ কিলোমিটার দূরের মানবাজার গ্রামীণ হাসপাতালে যাওয়া ছাড়া কোনও উপায় থাকে না। বোরো বাজারের মধ্যে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণের জন্য কয়েক বছর আগে স্বাস্থ্য দফতরে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। খোঁজ নিয়ে দেখব, সেটা কী অবস্থায় রয়েছে। প্রয়োজনে পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে আরও একবার প্রস্তাব পাঠানো যেতে পারে।
• এই এলাকার বিভিন্ন গ্রামে প্রচুর সব্জি চাষ হয়। কিন্তু বাজার না মেলায় আমরা দাম পাই না। এই সমস্যার ব্যাপারে কী পঞ্চায়েত সমিতির কোনও ভাবনা চিন্তা রয়েছে?
সঞ্জয় সিং, বড়গড়িয়া
সভাপতি: বোরোতে বড় বাজার নেই। আমরা এই এলাকায় একটি কিসান মান্ডি নির্মাণের জন্য জেলাশাসকের মাধ্যমে কৃষি দফতরকে অনুরোধ জানাব। সেখানে সব্জি সংরক্ষণের সুবিধা রাখা হবে।
• বোরোতে খেলার মাঠ নেই। এলাকায় খেলাধুলার চর্চা করতে নানা সমস্যা হয়। এর কোনও সমাধান হবে কি?
বংশীধারী মাহাতো, দিঘি
সভাপতি: মানবাজার ২ পঞ্চায়েত সমিতির প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অনন্যা ভবনের পাশে একটি মাঠ রয়েছে। ব্লক স্তরের যাবতীয় খেলাধুলা ওখানে হয়। তবে ওই মাঠ রায়তি সম্পত্তি। এলাকায় অধিগৃহীত জমি রয়েছে কি না খোঁজ করে দেখা হবে। পাওয়া গেলে মাঠ তৈরির জন্য পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে টাকা বরাদ্দ করা হবে।
• এলাকার অনেক স্কুলে সীমানা পাঁচিল নেই। কিন্তু সে রকমের অনেক স্কুলে মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষাকেন্দ্র হয়। পঞ্চায়েত সমিতি কি কিছু করতে পারে?
অমিত মাহাতো, খড়িদুয়ারা
সভাপতি: শিক্ষা স্থায়ী সমিতির বৈঠক ডেকে এলাকার স্কুলগুলির পরিকাঠামোগত ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হবে। সেখানেই সীমানা পাঁচিল-সহ অন্য সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করব।
• সম্প্রতি বোরো থানা এলাকায় জল সরবরাহ শুরু হয়েছে। কিন্তু মূল রাস্তার বাইরে জলের সংযোগ না থাকায় এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ব্যহত হচ্ছে। গ্রামে গ্রামে জলের সংযোগ কবে পাব?
মোহিত বেসরা, কুটনি
সভাপতি: জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর কয়েক মাস আগে জল সরবরাহ প্রকল্প চালু করেছে। কিন্তু পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন গ্রামে কী ভাবে জল দেওয়া যাবে, সেই ব্যাপারে কোনও স্পষ্ট নির্দেশিকা নেই। ব্যাপারটা নিয়ে জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের সঙ্গে কথা বলব।
• মানবাজার ২ পঞ্চায়েত সমিতির এলাকায় ৭টি অঞ্চল রয়েছে। এর মধ্যে ৫টিতে জলের রিজার্ভার এবং সংযোগ রয়েছে। জামতোড়িয়া-বড়গড়িয়া এবং বুড়িবাঁধ অঞ্চল জল সরবরাহ প্রকল্পের সুফল থেকে এখনও বঞ্চিত। এই এলাকাগুলিতে জল আসবে কবে?
ধ্রুবজ্যোতি মাহাতো, দাড়িকাডোবা
সভাপতি: এ বিষয়টি নিয়ে জেলায় কথা বলেছি। ওই দু’টি এলাকায় সৌর বিদ্যুতে পাম্প চালিয়ে জল সরবরাহ করা হবে।
• জলের অভাবে সব্জি চাষে আমরা শেষ রক্ষা করতে পারি না। আরএলআই প্রকল্পগুলি মুখ থুবড়ে পড়েছে। সেগুলি কি ফের চালু করা সম্ভব?
মথুর সিং, ফুলবেড়িয়া
সভাপতি: বাম আমল থেকেই আরএলআই প্রকল্পগুলি প্রায় অচল হয়ে রয়েছে। সেগুলি চালু থাকলে এলাকার গম চাষ ও সব্জি চাষে সুবিধা হত। প্রকল্পগুলি ফের চালু করার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে একটা প্রাথমিক আলোচনা হয়েছিল বলে শুনেছি। ওই বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে দেখব।
• জামতোড়িয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামোর মান বাড়ানোর জন্য কয়েকবার অবরোধ অবস্থান, স্মারকলিপি জমা, বিক্ষোভ হয়েছে। তার পরেও বাঁকুড়ার সীমানা লাগোয়া এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অবস্থা যে-কে-সেই রয়ে গিয়েছে। সারা দিনে বড়জোর ঘণ্টা দুয়েক চিকিৎসক থাকেন। স্বাস্থ্য পরিষেবা কি আদৌ আর কোনও দিন ঠিক ভাবে মিলবে এখান থেকে?
স্বপন পতি, জামতোড়িয়া
সভাপতি: জামতোড়িয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামোগত মান বৃদ্ধির জন্য আমরা সচেষ্ট রয়েছি। কিন্তু জেলায় চিকিৎসকের ঘাটতি রয়েছে। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে আমরা ফের জেলায় এ নিয়ে কথা বলব।
• বোরো ব্লক সদর হওয়া সত্বেও এখানে কেন্দ্রীয় বাজারও নেই। এই ব্যাপারে কোনও পরিকল্পনা রয়েছে কি?
স্বপন মাহাতো, বারি
সভাপতি: বান্দোয়ান-মানবাজার রাস্তার মাঝখানে বোরো থানা এলাকা। দু’পাশে দু’টি বড় বাজার থাকায় এখানকার বাজার বাড়তে পারেনি। তবে জামতোড়িয়া, বারি, আঁকরো, খড়িদুয়ারা, বসন্তপুরের মতো বেশ কিছু এলাকায় ছোট ছোট বাজার গড়ে উঠেছে। সদর বাজার গড়ে তুলতে বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হবে।
• বোরো থেকে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র বারি যাওয়ার রাস্তা বেহাল হয়ে পড়েছে। ওই রাস্তায় বাসও খুব কম চলে। রাস্তাটি সংস্কারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে কি?
বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, বোরো
সভাপতি: ওই রাস্তা সংস্কারের জন্য সম্প্রতি জেলা পরিষদ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। আশা করছি তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হয়ে যাবে ।
• এই এলাকায় বাস প্রয়োজনের তুলনায় কম চলে। যোগাযোগের জন্য টোটোর উপরে গুরুত্ব দেওয়া যায় কি? তাহলে কিছু যুবকের কর্ম সংস্থান হতে পারে।
সন্দীপ মাহাতো, বারি
সভাপতি: এটা খুবই ভাল প্রস্তাব। বেকার শিক্ষিত যুবকেরা এগিয়ে এলে আমরা স্বামী বিবেকানন্দ বাংলা স্বনির্ভর কর্ম সংস্থান প্রকল্পের মাধ্যমে সাহায্য করতে পারি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy