সভাস্থল বাছতে পরিদর্শনে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। পুরুলিয়ায়। নিজস্ব চিত্র।
গত কয়েক বছরে কখনও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কখনও পার্থ ভৌমিক বা মানস ভুঁইয়ার মতো নেতারা জেলায় কর্মিসভা করে গিয়েছেন। কিন্তু দলনেত্রী শেষ কবে পুরুলিয়া জেলায় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন, মনে করতে পারছেন না জেলার তৃণমূল নেতারা। এ বার ৩১ মে পুরুলিয়ায় কর্মিসভা করতে আসতে পারেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দাবি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের।
আগামী বছর পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার কথা। গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে পুরুলিয়ায় তৃণমূলের ফল ভাল হয়নি। তার আগে, গত পঞ্চায়েত ভোটেই বিজেপি জেলার নানা পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে শাসক দলের সঙ্গে টক্কর দিয়েছিল। বেশ কিছু পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতাও পেয়েছিল তারা। গত বিধানসভা ভোটে জেলা তৃণমূলের বেশ কয়েক জন শীর্ষ নেতা পরাজিত হয়েছেন। এর মধ্যে, তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি সৌমেন বেলথরিয়াকে জেলা সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছে দল। তার পরে, গত পুরভোটে পুরুলিয়া ও রঘুনাথপুরে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে তৃণমূল। সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও, ঝালদায় পুর-বোর্ড গড়েছে তারা।
এই পরিস্থিতিতে, দলনেত্রীর কর্মিসভায় পঞ্চায়েত ভোটের পরিকল্পনার দিশা মিলবে বলে আশা করছে তৃণমূলের বড় অংশ। ওই সভা থেকেই প্রচারের সুর বেঁধে দেওয়া হবে বলে ধারণা নেতৃত্বের অনেকের। শনিবার জেলা তৃণমূল ভবনে ওই সভা নিয়ে একটি প্রস্তুতি বৈঠক হয়। সেখানে ছিলেন জেলায় দলের পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। জেলার প্রতিটি অঞ্চল থেকে কর্মীরা যাতে ওই সভায় আসেন, তা নিশ্চিত করার বার্তা দেন তিনি। সভায় ছিলেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক শান্তিরাম মাহাতো ও রাজ্য সম্পাদক স্বপন বেলথরিয়া। তাঁদের দাবি, জেলায় প্রশাসনিক সভা বা বিধানসভা ও লোকসভা ভোটের প্রচার-পর্বে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সভা করলেও, রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে, মমতা পুরুলিয়ায় কোনও কর্মিসভা করেছেন, এমনটা তাঁদের স্মরণে নেই। শান্তিরামবাবুর দাবি, ‘‘শেষ কবে দিদি (মমতা) জেলায় কর্মিসভা করেছেন, মনে পড়ছে না। এই সভার যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে।’’ দলের বর্ষীয়ান নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, ‘‘দিদির বার্তার অপেক্ষায় রয়েছেন কর্মীরা।’’
জেলা তৃণমূল সূত্রের দাবি, প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, শহরের উপকণ্ঠে শিমুলিয়া ব্যাটারি ময়দানে ওই সভা হবে। দলেরজেলা সভাপতি সৌমেনের দাব, ‘‘জেলার ১৭০টি পঞ্চায়েত ও তিনটি পুরসভা থেকে অন্তত লক্ষাধিক কর্মী সভায় আসবেন। প্রতিটি ব্লকে প্রস্তুতি-সভা শুরু হচ্ছে।’’ প্রস্তুতি বৈঠকে দলের জেলা চেয়ারম্যান হংসেশ্বর মাহাতো, বিধায়ক রাজীবলোচন সরেন, প্রাক্তন বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরিরা হাজির ছিলেন।
১ জুন বাঁকুড়ায় দলীয় সভায় যোগ দিতে পারেন তৃণমূল নেত্রী। সে জন্য সভাস্থল নির্বাচনে শনিবার সতীঘাট বাইপাসের গন্ধেশ্বরীর চর পরিদর্শন করেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। ছিলেন বড়জোড়ার বিধায়ক তথা দলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অলক মুখোপাধ্যায়, তালড্যাংরার বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী, দলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দিব্যেন্দু সিংহমহাপাত্র প্রমুখ। অরূপবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আগেও সতীঘাট বাইপাস এলাকায় সভা করেছেন। এ দিন সে জায়গা পরিদর্শন করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy