—ফাইল চিত্র।
বিকল্প পথে পুরুলিয়া থেকে হাওড়া পর্যন্ত যাত্রিবাহী ট্রেন চালানোর প্রস্তাব দিলেন রেলের সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ বাসুদেব আচারিয়া। সম্প্রতি তিনি লিখিত আকারে এই প্রস্তাব দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের ডিআরএমের হাতে তুলে দিয়েছেন।
পুরুলিয়া থেকে আসানসোল হয়ে হাওড়া অথবা শিয়ালদহ পর্যন্ত যাত্রিবাহী ট্রেন চালানোর দাবি বহু পুরনো। এই পথে ট্রেন চললে অনেক কম সময়ে পুরুলিয়া থেকে হাওড়া বা শিয়ালদহ পৌঁছনো যাবে।
অতীতে দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টে কয়লা সরবরাহের জন্য দামোদর থেকে কালিপাহাড়ি (এই পথে এখন শুধু মালগাড়ি চলে) পর্যন্ত ‘সিঙ্গল লাইন’ রেলপথ রয়েছে। ওই লাইনটি দামোদর থেকে মহিশিলা হয়ে কালিপাহাড়িতে মূল রেলপথের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। কালিপাহাড়ি থেকে মহিশিলা পর্যন্ত ডবল লাইনের কাজ হয়েছে। মহিশিলা থেকে দামোদর পর্যন্ত ডবল লাইনের কাজ চলছে। রেল কর্তৃপক্ষের আশা, আগামী মার্চের মধ্যে সেই কাজ শেষ হবে। বাসুদেববাবুর প্রস্তাব, ওই পথে যাত্রিবাহী ট্রেন চালানো যেতে পারে। তা হলে আসানসোল এবং বার্নপুর স্টেশন না ছুঁয়েই অন্ডাল, রানিগঞ্জ, দুর্গাপুর হয়ে হাওড়া যেতে পারবেন যাত্রীরা। তাতে সময় অনেক কম লাগবে।
বাসুদেববাবুর কথায়, ‘‘আদ্রা-আসানসোল রুটে দামোদর ষ্টেশন থেকে মহিশিলা হয়ে যে রেলপথ আসানসোল-হাওড়া মূল লাইনের সঙ্গে মিশেছে, সেই পথে যাত্রিবাহী ট্রেন চালানো যেতে পারে। এই প্রস্তাব আমি দিয়েছি।’’
আদ্রার ডিআরএম নবীন কুমার বলেন, ‘‘প্রস্তাব পেয়েছি। কিন্তু ওই রুটে মালগাড়ি চলাচল করে। যাত্রিবাহী ট্রেন চালানোর জন্য ‘কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি’র অনুমোদন লাগে। অনুমোদন না মিললে যাত্রিবাহী ট্রেন চালানো যায় না। আমরা ওই প্রস্তাব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাব।’’
পুরুলিয়া থেকে হাওড়া সরাসরি ট্রেনের দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু বাস্তবায়িত হয়নি নানা কারণে। এর মধ্যে কিছু প্রযুক্তিগত কারণও রয়েছে বলে দাবি রেল সূত্রের। বাসুদেববাবু বলেন, ‘‘আসানসোল-বার্নপুর শাখায় এখনও সিঙ্গল লাইন থেকে গিয়েছে। রেলের সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান থাকার সময় ওই শাখাকে ডবল লাইন করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু সমীক্ষার পরে রেল জানায় যে, লাইনের পাশে বহু সংখ্যক ছোটবড় বাড়ি রয়েছে। এত সংখ্যক বাড়ি ভাঙায় অসুবিধা রয়েছে।’’
তাঁর সংযোজন, ‘‘তখন দামোদর থেকে মহিশিলা হয়ে কালিপাহাড়ি পর্যন্ত যে সিঙ্গল লাইনটি রয়েছে, যে লাইনে এখন মালগাড়ি চলাচল করে, তাকে ডবল লাইনে পরিবর্তিত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ২০১৩-’১৪ আর্থিক বর্ষে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়। কাজও শুরু হয়। কালিপাহাড়ি থেকে মহিশিলা পর্যন্ত ডবল লাইন হয়ে গিয়েছে। মহিশিলা থেকে দামোদর পর্যন্ত ডবল লাইনের কাজ বাকি ছিল। সেই কাজও চলছে। আশা করা যায়, আগামী মার্চের মধ্যে সেই কাজ শেষ হয়ে যাবে।’’ ওই পথে যাত্রিবাহী ট্রেন চালানো গেলে ব্যস্ত আসানসোল ষ্টেশন এড়িয়ে কম সময়ে পুরুলিয়া থেকে হাওড়া পৌঁছন সম্ভব বলে মনে করেন বাসুদেববাবু।
বাসুদেববাবুর কথায়, ‘‘এখন পুরুলিয়া থেকে আদ্রা, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, মেদিনীপুর, খড়গপুর হয়ে হাওড়া যেতে মোট ছয় ঘণ্টা সময় লাগে। কিন্তু ওই বিকল্প পথে ট্রেন চলাচল শুরু হলে সাড়ে চার ঘণ্টায় হাওড়া পৌঁছনো যাবে। এতে আসানসোল ষ্টেশনের উপরে চাপও কমবে। প্রস্তাবটি রেলের কাছে পাঠানোর অনুরোধ করেছি
ডিআরএম-কে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy