Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

আধার-কাণ্ডে সাসপেন্ড আক্রম

আধার-কাণ্ডে সাসপেন্ড করা হল মকদমনগরের পোস্টমাস্টার মহম্মদ ওয়াসিম আক্রমকে। মঙ্গলবার সকালে ডাক বিভাগের সিউড়ি সদর পোস্টাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট পরিমল মিত্র বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে সোমবারই মহম্মদবাজারের মকদমনগরের পোস্টমাস্টার মহম্মদ ওয়াসিম আক্রমকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এ

নিজস্ব সংবাদদাতা
মহম্মদবাজার শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০১৬ ০১:৪৩
Share: Save:

আধার-কাণ্ডে সাসপেন্ড করা হল মকদমনগরের পোস্টমাস্টার মহম্মদ ওয়াসিম আক্রমকে।

মঙ্গলবার সকালে ডাক বিভাগের সিউড়ি সদর পোস্টাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট পরিমল মিত্র বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে সোমবারই মহম্মদবাজারের মকদমনগরের পোস্টমাস্টার মহম্মদ ওয়াসিম আক্রমকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এখনও তদন্ত চলছে।’’ উদ্ধার হওয়া নথিগুলি কীভাবে সারের গাদায় এল, তদন্তে সেই রহস্য উদ্ধারেরও চেষ্টা শুরু হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় মহম্মদবাজারের সেকেড্ডা গ্রামের একটি সারের গাদা থেকে কয়েক বান্ডিল গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছিল। ওই ঘটনায় অভিযোগের তির ছিল এলাকার পোস্ট অফিসের দিকে। তার জেরে ওই সব নথি বিলির দায়িত্বে থাকা পোস্ট অফিসের এক অস্থায়ী পিওনের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলেও অভিযোগ। অভিযুক্তের পরিবার বর্তমানে এলাকাছাড়া। ঘটনার খবর পেয়েই এলাকায় পুলিশ ও প্রশাসনের লোক জন পৌঁছে যান। তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু আধার কার্ড, প্যান কার্ড ও এটিএম কার্ড-সহ নানা নথিপত্র উদ্ধার করেন। বর্তমানে সেগুলি প্রশাসনের কাছে সিল করা অবস্থায় আছে। গোটা ঘটনায় পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে স্থানীয় বাসিন্দারা লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন। প্রাথমিক ভাবে সংশ্লিষ্ট পোস্ট মাস্টার ওই ঘটনায় তাঁদের বিরুদ্দে চক্রান্ত হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন। সোমবারই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিলেন দফতরের রামপুরহাট মহকুমা পোস্টাল ইনস্পেক্টর মনোজ সিংহ।

এ দিকে, এ দিনও ওই পোস্ট অফিসের অস্থায়ী পিয়নের কোনও খোঁজ মেলেনি বলে দাবি করেছে তাঁর পরিবার। ওই কর্মীর স্ত্রী এ দিনও বলেন, ‘‘শনিবার দুপুরের পর থেকে এখনও পর্যন্ত ওঁর কোনও খোঁজ পাচ্ছি না। হয়তো গ্রামের লোকেদের ভয়ে কোথাও আত্মগোপন করে আছেন।’’ অন্য দিকে, এলাকাবাসীর একাংশের বক্তব্য, এমন গুরুত্বপূর্ণ নথি প্রাপকদেরকে না দিয়ে কেন সারের গাদায় পুতে রাখা হয়েছিল, প্রশাসনের তা তদন্ত করে দেখা উচিত। যে বা যাঁরা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও তাঁরা তুলেছেন।

এ দিন মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে ‘সাসপেন্ড’ হওয়া পোস্টমাস্টার কোনও মন্তব করতে চাননি। তবে, পরিমলবাবু জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে সারের গাদা থেকে উদ্ধার হওয়া নথিগুলি আসল বলেই জানা গিয়েছে। সেগুলি নিয়ম মেনে বিলিও করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা পুলিশ ও মহম্মদবাজারের বিডিও-র সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তদন্তের স্বার্থে সব সময়ে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।’’ বন্ধ থাকার পরে এ দিনই ওই পোস্ট অফিস খুলেছে। অন্য কর্মীকে দায়িত্ব দিয়ে তার কাজকর্ম স্বাভাবিক রাখা হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Postmaster Investigation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE