আদ্রা ডিভিশনে ট্রেন চালানোর দাবিতে ধর্নায় পুরুলিয়া শহরের যুবক তুষার অগস্তি দিল্লির রেল ভবনের সামনে। নিজস্ব চিত্র।
আদ্রা ডিভিশনে ট্রেন পরিষেবা চালু না হওয়া নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে পুরুলিয়ায়। এই ডিভিশনের সমস্ত শাখায় লোকাল ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন এবং পুরুলিয়া থেকে বাঁকুড়া হয়ে হাওড়াগামী একটি এক্সপ্রেস ট্রেন ফের চালু করার দাবিতে গত কয়েক মাস ধরে সরব হয়েছেন নিত্যযাত্রীরা। আন্দোলনে নেমেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। বুধবার থেকে পাশের আসানসোল ডিভিশনে লোকাল ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। কিন্তু আদ্রার বিষয়টি এখনও থমকে। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সিপিআরও সঞ্জয় ঘোষ বলেন, ‘‘আদ্রা ডিভিশনে ট্রেন চালানোর ব্যাপারে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে রেল বোর্ডে। এখনও সবুজ সঙ্কেত আসেনি।’’
সংসদে রেলওয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান বাসুদেব আচারিয়া বলেন, ‘‘বুধবার রাতে কলকাতায় চিফ প্যাসেঞ্জার ট্রাফিক ম্যানেজারকে ফোন করেছিলাম। শুনলাম, কোভিডের জন্য রেলভবন বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার খুলবে। তার পরে অনুমতি মিলতে আরও কতটা দেরি হবে, এখনও স্পষ্ট নয়। রেলভবন খুললে রেল বোর্ডের মেম্বার (ট্রাফিক) বা চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলব।’’ বাসুদেববাবু অভিযোগ করেন, ট্রেন পরিষেবা শুরু না হওয়ার অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষজন। অর্থনীতিতেও তার প্রভাব পড়ছে। বাঘমুণ্ডির বিধায়ক তথা বিধানসভায় কংগ্রেসের ডেপুটি লিডার নেপাল মাহাতো বলেন, ‘‘পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া এমনিতেই যোগাযোগের দিক থেকে পিছিয়ে পড়া এলাকা। সে জন্য অবিলম্বে ট্রেন চালু করা দরকার। এই দাবি তুলে আমি রেলমন্ত্রী ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারকে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু কিছুই হয়নি।’’
তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলার মুখপাত্র নবেন্দু মাহালি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের বাংলার প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ নতুন নয়। ট্রেন পরিষেবা এখনও শুরু না হওয়া সেই তালিকায় নতুন সংযোজন বলেই আমাদের মনে হচ্ছে।’’ তাঁর অভিযোগ, সতর্কতা নিয়ে ধীরে ধীরে বিভিন্ন ক্ষেত্রের পরিষেবা স্বাভাবিক হলেও ট্রেন চালানো নিয়ে গড়মসি হচ্ছে। নবেন্দুবাবু বলেন, ‘‘ট্রেনের সঙ্গে বিভিন্ন স্তরের মানুষজনের জীবিকা জড়িয়ে রয়েছে। কোভিডের দোহাই দিয়ে পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রাজনীতি রয়েছে। বিজেপির সাংসদ দায় এড়াতে পারেন না।’’
পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো আবার বলেন, ‘‘কয়েকদিন আগে রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল রাজ্যের সমস্ত সাংসদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানে আমরা ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করার কথা বলেছি। রেলমন্ত্রী আমাদের জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের সবুজ সঙ্কেত না পেলে রেল দফতর ট্রেন চালাতে পারছে না। রাজ্য সরকারই গড়িমসি করেছে। আর অভিযোগ তোলা হচ্ছে আমাদের দিকে। এটা ভাবের ঘরে চুরি।’’
নবেন্দুবাবুর পাল্টা বক্তব্য, ‘‘রাজ্য সরকার সবুজ সঙ্কেত না দিলে হাওড়া, শিয়ালদহ, খড়গপুর আর আসানসোল ডিভিশনে পরিষেবা চালু হল কী করে? এ ভাবে বিজেপি সাংসদ ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy