কাজল শেখ। ফাইল চিত্র।
এক সময় তাঁর হুমকিতে বিরোধীরা ত্রস্ত থাকতেন বলে অভিযোগ। গরু পাচার মামলায় বীরভূমের সেই দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল বর্তমানে তিহাড় জেলে। এ বার অনেকটা অনুব্রতের ঢঙেই বীরভূমকে কার্যত ‘বিরোধী-শূন্য’ করার কথা বললেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। কর্মীদের প্রতি তাঁর আহ্বান, বীরভূমে যেন জোড়াফুল ছাড়া আর কিছু না-থাকে। কাজলের মন্তব্য নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা।
শুক্রবার তারাপীঠ থানার বেসিক মোড়ে রামপুরহাট ২ ব্লক তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী ছিল। কাজল শেখ ছাড়াও সেখানে ছিলেন সাংসদ শতাব্দী রায়, এলাকার বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়, দলের ব্লক সভাপতি সুকুমার মুখোপাধ্যায়, জেলা ত্রিদিব ভট্টাচার্য।
ওই অনুষ্ঠানেই কাজল বলেন, ‘‘বীরভূম জেলার বুকে জোড়াফুল ছাড়া অন্য কিছু থাকবে না। বীরভূম জেলার বুকে বুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া অন্য কিছু থাকবে না।’’ কাজলের সংযোজন, ‘‘২৪-এর নির্বাচনে গোটা টিম এক সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পায়ে পা মিলিয়ে বীরভূমের দু’টি আসনে দু’লক্ষাধিক ভোটে দলকে জয়ী করিয়ে দেখিয়ে দেব।’’
কাজলের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি-র বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহার প্রতিক্রিয়া, ‘‘হুমকি দিয়ে দলের জেলা সভাপতি বর্তমানে তিহাড় জেলে রয়েছেন। কাজল শেখ বর্তমানে নতুন নেতা। এখন দলের মধ্যে একটু বেশি লাফাচ্ছেন।’’ ধ্রুবের দাবি,
কাজল শেখরা বুঝতে পেরেছেন, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় থাকছে। বীরভূম জেলাতেও বিজেপি জয়ী হবে। সেই কারণে এখন থেকেই হুমকি দিয়ে কর্মীদের চাঙ্গা করছেন কাজলেরা।
সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সঞ্জীব বর্মণ বলেন, ‘‘তৃণমূল দলটাই আসলে ধমক-চমক ও হুমকির রাজনীতি করে বড় হয়েছে। মানুষকে ভয় দেখিয়ে ওরা এখন রাজত্ব করছে। কিন্তু, ওরা বুঝতে পারছে, রাজ্যে শিক্ষা, খাদ্য থেকে স্বাস্থ্য সমস্ত ক্ষেত্রেই ওদের দুর্নীতি মানুষ দেখছে। তাই এই হুমকি দিয়ে টিকে থাকতে চাইছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy