প্রতীকী চিত্র।
তারাপীঠের লজ থেকে তরুণীর দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। পুলিশ জানায়, রুবিনা খাতুন (১৯) নামে ওই তরুণীর বাড়ি মুর্শিদাবাদের লালবাগ। ঘটনার পর থেকে খোঁজ মেলেনি মৃতের ‘স্বামী’ নুরুল ইসলামের। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, এটি শ্বাসরোধ করে খুনের ঘটনা। বৃহস্পতিবার সকালের এই ঘটনায় রাত পর্যন্ত কোনও আটক বা গ্রেফতারের খবর নেই।
পুলিশ তদন্তে জেনেছে, ২২ জুলাই রুবিনাকে সঙ্গে নিয়ে তারাপীঠ তিনমাথা মোড় লাগোয়া লজে উঠেছিলেন নুরুল। বৃহস্পতিবার সকালে ঘর ছাড়ার কথা ছিল। বাইরে থেকে হোটেলের ঘর তালাবন্ধ থাকার কথা লজের মালিক পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে রুবিনার দেহ উদ্ধার করে। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়।
তারাপীঠে এমন ঘটনা নতুন নয়। স্ত্রীকে খুন করে অভিযুক্তের বেপাত্তা হয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। একাধিক ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে হোটেলে আসা ব্যক্তিদের পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি সে সব পুলিশকে জানানোর নিয়ম চালু রয়েছে দীর্ঘ দিন। রামপুরহাটের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সায়ন আহমেদ বলছেন, ‘‘একাধিক বৈঠকে তারাপীঠের লজে আসা ব্যক্তিদের যাবতীয় তথ্য পুলিশকে জানাতে বলা হয়েছে। তার পরেও সাত দিন ধরে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকার খবর পুলিশকে দেওয়া হয়নি। কোভিড বিধি মেনে ঘর ভাড়া দেওয়া হয়েছিল কিনা সেই ব্যাপারেও কোনও তথ্য জানা নেই।’’
লজ সূত্রের দাবি, সচিত্র পরিচয়পত্র দেখে দস্পতিকে ঘর ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। লজের কর্মীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, এ দিন সকালে তাঁরা নুরুলকে একা ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে দেখে ঘর ছাড়ার বিষয়টি জানতে চান। ওই যুবক গাড়ি ভাড়া করতে যাওয়ার কথা বলে বেরিয়ে যান বলে দাবি। দীর্ঘ অপেক্ষার পরে না ফেরায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। যে ঘরে রুবিনার দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেখান থেকে কিছু কাগজ এবং ফোন নম্বর উদ্ধার হয়েছে।
এমন ঘটনায় হতবাক নুরুলের পরিবার। এক বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। নুরুলের মা হোসনেয়ারা বিবির দাবি, ‘‘আমরা কিছু জানি না। নুরুল এমন করলে শাস্তি পাক। পুলিশকেও সমস্ত রকমের সাহায্য করতে প্রস্তুত।’’ মৃতার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy