প্রতীকী ছবি
অওরঙ্গাবাদে মালগাড়ির চাকায় কাটা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ঘরমুখী ১৬ জন পরিযায়ী শ্রমিকের। ওই ঘটনার পরে রেললাইন ধরে কেউ যাতে হাঁটাচলা করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে সতর্ক পুরুলিয়া জেলার রেলপুলিশ।
রেলপুলিশ এবং আরপিএফ জওয়ানেরা রেললাইনে নজরদারি বাড়িয়েছেন। পাশাপাশি নজরদারি শুরু করেছে জেলাপুলিশও। রেলপুলিশ সূত্রের খবর, গত ৮ মে ভোরে ওই দুর্ঘটনার পরে থেকেই রেলপথে নজরদার বাড়ানো হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগান রবিবার বলেন, ‘‘আগে থেকেই রেলপথে নজরদারি চালানো হচ্ছিল। এখন তা আরও বাড়ানো হয়েছে।’’
পুরুলিয়া রেলপুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরুলিয়া জিআরপি’র আওতায় ১৬৮ কিলোমিটার রেলপথ রয়েছে। সড়কপথে পুলিশের নজরদারি থাকায় অনেকেই এখন ঝাড়খণ্ড বা ওড়িশা থেকে রেললাইন ধরে হেঁটে পুরুলিয়া ঢুকতে পারেন বলে অনুমান করছে পুলিশ। সেই কারণেই নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত।
রেললাইন নজরদারির দায়িত্বে থাকা কর্মীরা ঠিক যে ভাবে নির্দিষ্ট সময় ধরে রেললাইন পরীক্ষা করেন, নজরদারির কাজও হচ্ছে সে ভাবেই।
পুরুলিয়া জিআরপি’র দায়িত্বে ২৩টি স্টেশন রয়েছে। প্রতিটি স্টেশনেই রেলপুলিশের কর্মীদের পাশাপাশি অনেক সিভিক ভলান্টিয়ারও মোতায়েন করা হয়েছে। বল জানা গিয়েছে।
রেলপুলিশের এক আধিকারিক জানান, শাখাগুলি এলাকা ভাগ করে নজরদারি চালাচ্ছে। রেলপথের লাগোয়া ছোটবড় যে সমস্ত রাস্তা রয়েছে, সেখানেও নজরদারি চলছে।
পুরুলিয়া জিআরপি-র ওসি বুদ্ধদেব কুণ্ডু জানান, ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া তোড়াং, সুইসা, বেরমু, ইলু, বরাভূম, পুন্দাগ, ঝালদা স্টেশন এলাকাগুলি বিশেষ ভাবে নজরে রাখা হয়েছে।
ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছে আরপিএফ। পুরুলিয়া আরপিএফ-এর ওসি সঞ্জয় হাজরা জানান, রেললাইন ধরে কেউ হাঁটছেন কিনা, তা নজরে রাখা হয়েছে।
জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তারাও রেললাইনে নজরদারি বাড়িয়েছে। যে সমস্ত থানা এলাকায় রেললাইন রয়েছে, সেই থানাগুলিকে এ বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লেভেল ক্রসিং সংলগ্ন এলাকা-সহ অন্যত্র নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট থানাগুলিকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy