বাঁকুড়ার সেই পোড়ো জমিদারবাড়ি। — নিজস্ব চিত্র।
বাঁকুড়া শহরের কালীতলা এলাকার পোড়ো জমিদারবাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া হাড়গোড় মানুষের। তবে ওই হাড়গোড় কোনও এক জনের নয়। তা একাধিক ব্যক্তির। হাড়গোড়গুলির ময়নাতদন্ত করার পর প্রাথনিক ভাবে এমনটাই মনে করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই হাড়গুলির আকার দেখে ময়নাতদন্তকারীরা মনে করছেন, সে গুলির মধ্যে পুরুষ এবং মহিলার হাড় রয়েছে। প্রতিটি হাড়ের কিছু রাসায়নিক (কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট) ব্যবহার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে এমন তথ্যই এসেছে পুলিশের হাতে। বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) বিবেক বর্মা বলেন, ‘‘হাড়গোড়গুলিতে রাসায়নিক ব্যবহার হওয়ায় প্রাথমিক ভাবে আমাদের ধারণা যে, একাধিক মৃতদেহ থেকে ওই হাড়গুলি সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেই দেহগুলির ময়নাতদন্ত হয়েছে আগেই। সাধারণত এই ধরনের হাড়গোড় ডাক্তারি পড়ুয়ারা পড়াশোনা এবং গবেষণার কাজে ব্যবহার করে থাকেন। আমাদের ধারণা এই হাড়গোড়গুলিও কোনও ডাক্তারি পড়ুয়া পড়াশোনা এবং গবেষণার কাজের জন্যই সংগ্রহ করেছিলেন।’’
তবে ওই হাড়গোড় পরিত্যক্ত জমিদারবাড়িকে কী ভাবে গেল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি খোঁজ নেওয়া হচ্ছে ওই জমিদারবাড়ির কেউ কখনও ডাক্তারি ছাত্র ছিলেন কি না তাও। কর্মসূত্রে অন্য শহরে থাকা জমিদারবাড়ির বংশধরদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy