নজরদারি। নিজস্ব চিত্র
‘ড্রোন’ উড়িয়ে জঙ্গল এলাকায় বসবাসকারীদের বাড়ি চিহ্নিত করল পুলিশ। বুধবার ‘ড্রোন’-এর ক্যামেরায় বন্দি করা হয় সোনামুখীর জঙ্গল ঘেঁষা এলাকার ঘরবাড়ির ছবি। সম্প্রতি জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে এই কাজের দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
প্রশাসন সূত্রের খবর, সোনামুখী পুরসভার একাংশে বন দফতরের জমিতে বাস করেন বহু পরিবার। জমির কাগজপত্র না থাকায় তাঁরা আবাস যোজনায় বাড়ি পাচ্ছেন না। প্রশাসনিক বৈঠকে বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর কানে তোলা হয়। তখই পুলিশকে তিনি ‘ড্রোন’ উড়িয়ে ওই এলাকায় বসবাসকারীদের ঘরগুলি চিহ্নিত করে রাখার নির্দেশ দেন।
সোনামুখীর পুরপ্রধান সুরজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, “জঙ্গল এলাকায় বসবাসকারী পরিবারগুলিকে পাট্টা দেওয়া হবে। সরকারি সহায়তা পেতে যা খুবই জরুরি। কিন্তু অনেকের কাছে জমির কাগজপত্র না থাকায় সরকারি প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হয়। এ দিন ড্রোন উড়িয়ে সেই পরিবারগুলির ঘরবাড়ি চিহ্নিত করা হয়েছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘নতুন করে কেউ বন দফতরের জমিতে বসবাস শুরু করলে সহজেই তা চিহ্নিত করা যাবে। ওই এলাকায় নতুন করে যাতে কেউ বসবাস শুরু করতে না পারেন তার জন্যই ছবি তুলে রাখা হল।’’
এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘জঙ্গল এলাকার প্রতিটি বাড়ির পৃথক ছবি ড্রোনের ক্যামেরায় বন্দি করা হয়েছে।’’
সোনামুখীর মানিকবাজার পঞ্চায়েতের কড়াশুলি, নতুন বলরামপুর, অমলনগর, আদববাজার ও ধানসিমলার পাশে নাড়ুয়ালা জঙ্গল এলাকায় মোট ২০০টি পরিবারের বাস। বৈদ্যনাথ রায় এবং তারাপদ রায়ের মতো এলাকার অনেক বাসিন্দার দাবি, ৩০ বছর ধরে তাঁরা জঙ্গল এলাকায় বাস করছেন। কিন্তু জমির কাগজপত্র না থাকায় সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy