সিউড়ি স্টেশন ঘুরে দেখছেন জিএম সুনীত শর্মা। নিজস্ব চিত্র
সকাল সকাল জেলা সদর সিউড়ি থেকে কলকাতা পৌঁছনো ও কাজ সেরে সন্ধ্যার সময় কলকাতা থেকে সিউড়ি ফেরার ট্রেন চাই। বহুকাল ধরে সিউড়ি শহরের বাসিন্দাদের মূল দাবি এটাই। পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার সুনীত শর্মাকে সামনে পেয়ে শুক্রবার সেই দাবিই রাখলেন সিউড়ির রেল যাত্রীরা। শুধু দাবি জানানোই নয়, সময় সারণিও জুড়ে দিয়েছেন সিউড়ির বাসিন্দারা। দাবি খতিয়ে দেখে তা মানার সাধ্যমত চেষ্টা করবেন কথা দিয়েছেন রেল কর্তা।
জেনারেল ম্যানেজার পরিদর্শনের আগেই সিউড়ি স্টেশন সৌন্দর্যায়নের কাজ ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় কতটা এগিয়ে তা খতিয়ে দেখতে ডিসেম্বরের ৩০ তারিখ সিউড়ি এসেছিলেন আসনসোলের ডিআরএম সুমিত সরকার। শুক্রবার স্টেশনের সাজসজ্জা দেখে একই রকম খুশি হন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারও। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শুক্রবার সকাল পৌনে দশটা নাগাদ সিউড়ি স্টেশনে ঢোকে রেল কর্তার সেলুনকার। নামার পর রেল লাইন থেকে সিউড়ির স্টেশন ঘুরে দেখেন জেনারেল ম্যানেজার। সঙ্গী ছিলেন আসনসোলের ডিআরএম-সহ অন্য আধিকারিকেরা। রেল কর্তার পরিদর্শনে বাদ যায়নি স্টেশন চত্বরে শৌচাগার থেকে রেলের স্টাফ কোয়ার্টারও। রেলকর্মীদের স্ত্রী সালু সিংহ, প্রীতি ইরানি, সাধনা বন্দ্যোপাধ্যায় অধিকারীরা বলছেন, ‘‘রেল কর্তা আসবেন বলে রান্নাঘর, শৌচাগারের টালি বসানো থেকে দেওয়ালের রং হয়েছে বেশি কিছু আবাসনে। বাকিগুলোও হচ্ছে। তবে বাচ্চাদের খেলার জন্য একটা উদ্যানের দাবি জানানোর ইচ্ছে থাকলেও জানাতে পারিনি।’’ পরিদর্শন শেষে রেল কর্তা জানান, ‘‘এখন এখানে যাত্রীরা অনেক আধুনিক সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। যাত্রী প্রতীক্ষালয়গুলি সংস্কার করা হয়েছে। সংরক্ষিত টিকিট কাউন্টার চত্বরটিরও পরিমার্জন হয়েছে। সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। গোটা স্টেশন চত্বরকে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। সর্বোতভাবে চেষ্টা হয়েছে যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য নানা সুবিধা দিতে।’’
সদরের নিত্যযাত্রীদের বক্তব্য, সিউড়ি স্টেশনটি সাজাতে রেল যে উদ্যোগী হয়েছে, সেটা ভাল কথা। কিন্তু যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টিকে দেখা উচিৎ কারণ সার্ধশতবর্ষ প্রাচীন সিউড়ির বাসিন্দারা এখনও কলকাতার সঙ্গে দৈনিক যোগাযোগের জন্য এখনও ট্রেন পথকে ব্যবহার করতে পারেন না। এর আগেও এই একই দাবি বহুবার জানানো হয়েছে। শহরের বাসিন্দা জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শৌভিক সিংহের মতো অনেকেই এ দিন রেল কর্তাদের বলেন, ‘‘দূরপাল্লার একাধিক ট্রেন এই স্টেশনের উপর দিয়ে গেলেও সেগুলির অধিকাংশের স্টপেজ নেই এখানে। এক দশক ধরে এই আর্জি জানাচ্ছি।’’ এ দিন রেল কর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেতা দুধকুমার মণ্ডল, কালোসোনা মণ্ডলরাও। একই দাবি জানাতে স্টেশনে পৌঁছেছিলেন কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সঞ্জয় অধিকারীও।
এ ব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমকে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার বলেন, ‘‘স্থানীয় মানুষের এই দাবি এবং ট্রেনের সারণি সহ ডিভিশন থেকে একটি প্রস্তাব আমার কাছে পাঠানো হয়েছে। মুখ্যালয়ে বিষয়টি খুঁটিয়ে বিশ্লেষণ করা হবে। যাতে এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy