বিপূল আয় মদ থেকে।
রাজ্য সরকারের আয়ের ‘বড়’ উৎস এখন মদ বিক্রি থেকে পাওয়া রাজস্ব, প্রায় টিপ্পনী শোনা যায় বিরোধী দলগুলির তরফে। বিভিন্ন উৎসব-পার্বণে রাজ্যে মদ বিক্রিও সাম্প্রতিক সময়ে রেকর্ড ছুঁয়েছে। সেই ধারা বজায় রইল এ বারের দোল-হোলিতে। শুধু পুরুলিয়াতেই এ বারে প্রায় চার কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে, খবর জেলা আবগারি দফতর সূত্রে।
দফতর সূত্রে জানা যায়, দোল ও হোলি, এই দু’দিনে জেলা জুড়ে ৩ কোটি ৯২ লক্ষ টাকার মদ বিক্রি হয়েছে। বিক্রিতে এগিয়ে রয়েছে দেশি মদ। দেশি মদের (‘কান্ট্রি লিকার’) বিক্রির পরিমাণ প্রায় এক লক্ষ ১১ হাজার লিটার। সেখানে বিদেশি মদ (‘ফরেন লিকার’) বিক্রি রয়েছে ১৮ হাজার লিটার। এ বারে মদ বিক্রির পরিমাণ গত বছরকে ছাপিয়ে গিয়েছে। গত বার দোলের মরসুমে জেলায় মদ বিক্রির পরিমাণ ছিল ৩ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকা। পাশাপাশি, তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে বিয়ারের বিক্রিও। দু’দিনে বিয়ার বিক্রি হয়েছে ৫১ হাজার লিটার।
এর আগে, গত পুজোর মরসুমে জেলায় মদ বিক্রির পরিমাণ ছিল ১২ কোটির বেশি। অক্টোবরের গোড়ায়, পুজোর পাঁচ দিনে ১২ কোটি ৩২ হাজার টাকার মদ বিক্রি হয়েছিল। সেখানে দোল ও হোল মিলিয়ে মাত্র দেড় দিনে মদ বিক্রি পৌঁছেছে চার কোটির দোরগোড়ায়। জেলার এক মদের দোকানের মালিক বলেন, “মাত্র দেড় দিনে এই পরিমাণ মদ বিক্রি হয়েছে। দোলের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার দুপুর ২টোয় দোকান খোলা হয়েছিল।”
ঘটনা হল, পুজোর সময়ে মদের বিক্রি ভালই হয়। তবে, করোনার পরে থেকে দোলের সময়ে জেলায় পর্যটকের সংখ্যা বাড়ায় মদ বিক্রির পরিমাণও বাড়ছে বলে দাবি জেলার মদ বিক্রেতাদের একাংশের। আর এতে ভাল বৃদ্ধি ঘটেছে আবগারি দফতর থেকে পাওয়া রাজস্বেও। জেলা আবগারি দফতরের দাবি, চোরা পথে লাগোয়া ঝাড়খণ্ড থেকে জেলায় ঢোকা মদের বিক্রি আটকানো গিয়েছে। হাটে-বাজারে নিয়মিত বেআইনি মদ বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযানও চালানো হচ্ছে। দফতরের আধিকারিক অসিত শর্মা জানান, জেলায় ‘অফ’ ও ‘অনশপ’ মিলিয়ে দোকানের সংখ্যা ২১২টি। দফতর অনুমোদিত ওই দোকানগুলি থেকে মদ বিক্রি হয়েছে। গত বারের চেয়ে এ বারে বিক্রির পরিমাণ কিছুটা বেশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy