Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
parambrata chatterjee

Parambrata Chatterjee: হঠাৎ এক টেবিলে অনুব্রত-পরমব্রত, বোলপুর সার্কিট হাউসের ‘ব্রতকথা’ ঘিরে জল্পনা

পরমব্রত বলেন, ‘‘অনুব্রত মণ্ডল দারুণ মানুষ। মজার মানুষ এবং কাজের ক্ষেত্রে অত্যন্ত দক্ষ।’’ তবে নেহাতই ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ বলছেন অভিনেতা।

আচমকা পরমব্রত-অনুব্রত সাক্ষাৎ।

আচমকা পরমব্রত-অনুব্রত সাক্ষাৎ। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বোলপুর শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২১ ১৮:০২
Share: Save:

বোলপুরের সার্কিট হাউসে হঠাৎ অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা গেল পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে। বাইরে তখন কৌতূহলী সাংবাদিকদের ভিড় উপচে পড়ছে। কিন্তু সে সবে ভ্রূক্ষেপ না করে প্রায় দু’ঘণ্টা একান্তে আলাপচারিতা সারলেন তাঁরা। শুধু কথাবার্তাই নয়, এক টেবিলে পাশাপাশি বসে দুপুরের খাওয়াদাওয়াও সারলেন। সে সব মিটিয়ে যখন বাইরে বেরোলেন, ‘কেষ্ট’কে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন পরমব্রত। ফোনে আনন্দবাজার অনলাইন-কে বললেন, ‘‘অনুব্রত মণ্ডল একজন দারুণ মানুষ। মজার মানুষ এবং কাজের ক্ষেত্রে অত্যন্ত দক্ষ।’’

ঘোষিত ভাবে বামপন্থী আদর্শে বিশ্বাসী হলেও, ভোটের আগে ‘রংহীন’ অবস্থান ছিল পরমব্রতর। কিন্তু অনুব্রতর সঙ্গে সাক্ষাতের পর তাঁর রাজনীতিতে নামা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। অভিনেতা নিজে যদিও সেই জল্পনা খারিজ করে দিয়েছেন। নিজস্ব রাজনৈতিক চিন্তা ভাবনা থাকলেও, দলীয় রাজনীতি নিয়ে অনীহা রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়েও দেননি পরমব্রত। বরং তাঁর বক্তব্য, ‘‘রাজনীতিতে যোগ দেওয়া বা না দেওয়া, সে নিয়ে জল্পনা এখন বাড়িয়ে লাভ নেই।’’

শুক্রবারের অনুব্রতর সঙ্গে পরমব্রতর বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা অনুব্রতর ডান হাত বলে পরিচিত অভিজিৎ মণ্ডল, বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় এবং পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠি। তৃণমূল সভাপতি এবং জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে কিসের আলোচনা, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। পরমব্রত যদিও জানিয়েছেন, বোলপুরে এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিলেন। একটা সমস্যা ছিল। সেই নিয়েই অুনুব্রতর সঙ্গে যোগাযোগ। তার পর দেখা করতে সার্কিট হাউস যাওয়া।

কিন্তু এই দীর্ঘ আলোচনার সঙ্গে তৃণমূলে যোগদানের কি কোনও সংযোগ রয়েছে? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পরমব্রত বলেন, ‘‘এটা নেহাতই সৌজন্য সাক্ষাৎ। মাঝে মাঝেই এখানে আসি আমি। এ বারও ঘুরতে এসেছিলাম। ব্যক্তিগত কাজ নিয়ে এসেছিলাম। আমি এখানে ছিলাম, তাই ওঁর সঙ্গে কথা হল। বললেন আসুন, দুপুরে খাওয়া দাওয়া করি। তাই আসা। নেহাতই সৌজন্য সাক্ষাৎ। পরস্পরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছি মাত্র।’’

ভোটের আগে টলিপাড়ার বহু তারকাই রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছিলেন। কেউ বেছে নেন পদ্ম শিবির, তো কেউ আবার ঘাসফুল। তিনিও কি সে নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন? জবাবে পরমব্রত বলেন, ‘‘সে তো অনেকেই যাচ্ছেন! আমি কিন্তু অনেক দিন ধরেই যাইনি। আমার নিজস্ব রাজনৈতিক ভাবনা অবশ্যই রয়েছে। কিন্তু সেটা সরাসরি দলের হয়ে নয়। আজকেপুরোপুরি সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। এতে যোগ দেওয়া, না দেওয়ার জল্পনা নেই।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তিনি অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করতে আসেননি, সে কথাও জানিয়ে দেন অভিনেতা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE