ছবি সংগৃহীত।
এ বার থেকে দু’মাস অন্তর দিল্লি আসতে পারেন তিনি। রাজধানী ছাড়ার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়ে দিলে়ন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে বললেন, তিনি যা যা উদ্দেশ্য নিয়ে দিল্লি সফরে এসেছিলেন, তা সবই সফল হয়েছে। কিন্তু ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে নজরে রেখে যে বিরোধী জোট নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে জল্পনা চলছে, তার নেতৃত্ব সংক্রান্ত প্রশ্ন আবারও সুকৌশলেই এড়িয়ে গেলেন তিনি। তবে বিরোধী ঐক্যের ডাক দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘দেশের গণতন্ত্র বাঁচাতে বিরোধীদের এক জোট হতে হবে।’’
শুক্রবারই মমতার দিল্লি-সফর শেষ হয়েছে। বাংলায় ফিরে আসার আগে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, বিরোধী শিবিরগুলিকে একজোট করতে যদি তাঁকে বার বার দিল্লি আসতে হয়, তার জন্য প্রস্তুত তিনি। তবে বিরোধী শিবিরের মুখ কে হবেন, সেই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এখনই ভাবনাচিন্তা করতে রাজি নন। মমতা আগেও জানিয়েছে, বিরোধী শিবিরের নেতা নন তিনি, ক্যাডার মাত্র। এ দিনও তিনি বললেন, ‘‘এই মুহূর্তে দেশ বাঁচানোই এখন একমাত্র লক্ষ্য।’’
বাংলায় গত বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভের পর এই প্রথম বার দিল্লি সফরে এলেন মমতা। জল্পনা ছিল, কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধীর পাশাপাশি এনসিপি নেতা শরদ পওয়ারের সঙ্গে দেখা করে বিরোধী জোট নিয়ে কথা বলতে পারেন তিনি। কিন্তু সফরসূচি মেনে সনিয়া, রাহুল, কেজরীবালদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করলেও মমতার শরদ-সাক্ষাৎ না হওয়ায় একাধিক প্রশ্ন উঠেছে জাতীয় রাজনীতিতে। তবে শেষ দিনে মমতা জানালেন, ‘‘শরদজির সঙ্গে আমার সশরীরে দেখা না হলেও ওঁর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে।’’
সম্প্রতি বাংলার বিধানসভা ভোটে মমতার ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন শরদ। তখন থেকেই জাতীয় স্তরে অবিজেপি জোট নিয়ে জল্পনা জোরালো হতে শুরু করেছিল। কিন্তু তার পরই শোনা যায়, শরদকে রাষ্ট্রপতি করার ভাবনা চিন্তা চলছে জাতীয় রাজনীতিতে। সেই আবহে প্রবীণ নেতার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাৎ সেই জল্পনাকে আরও উস্কে দেয়। সেই সঙ্গে তাল কাটে বিরোধী জোটের সম্ভাবনাতেও। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মমতা দিল্লি এসে শরদের সঙ্গে বৈঠক করলে তা নানা দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠত বলে মনে করছেন রাজনীতির কারাবারিরা।
পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রকে ফের আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, ‘‘তেল-গ্যাসের দাম রোজ রোজ বাড়ছে। মানুষ নাজেহাল। দিনে দিনে বেকারত্বও বাড়ছে দেশ জুড়ে। টিকাকরণ যাতে ঠিক মতো এগোয়, তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছি।’’ দিল্লি ছাড়ার আগে তিনি জানান, ‘‘দেশের উন্নয়ন চাই, মানুষের উন্নয়ন চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy