বোলপুরের বাসিন্দা নার্সিং ছাত্রীর মৃত্যু। — নিজস্ব চিত্র।
বোলপুরের সুস্মিতা মুদি কলকাতায় নার্সিং পড়তেন। সেখানেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর শংসাপত্রেও তেমনই উল্লেখ। যদিও সুস্মিতার পরিবারের দাবি, তাঁকে খুন করা হয়েছে। সত্যিই খুন কি না জানতে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
এক নার্সিং ছাত্রীর মৃত্যুকে ঘিরে ধোঁয়াশা বীরভূম জেলার বোলপুর সংলগ্ন রাইপুর গ্রামে। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে চলতি বছর মে মাসে নার্সিং ট্রেনিং নিতে যায় ১৮ বছরের সুস্মিতা। শুক্রবার সকাল ছ’টা নাগাদ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সুস্মিতার মৃত্যু হয় বলে বাড়িতে খবর আসে। হাসপাতাল থেকে যে মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়া হয়, যেখানেও উল্লেখ রয়েছে ডেঙ্গুতেই মৃত্যু হয়েছে সুস্মিতার। কিন্তু পরিবারের দাবি, মেয়েকে মেরে ফেলা হয়েছে। শনিবার কলকাতা থেকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে দেহ নিয়ে আসা হলে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ময়নাতদন্তের জন্য তা সিউড়ি হাসপাতালে পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত দু’দিনে এ নিয়ে তিন জন নার্সিং পড়ুয়ার মৃত্যু হল। এর আগে এসএসকেএম হাসপাতালের নার্সিং ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার সকালে হস্টেলের শৌচাগার থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের অনুমান, তরুণীর ব্যক্তিগত জীবনে সমস্যা চলছিল। সম্পর্কের টানাপ়ড়েনের কারণেও তিনি অবসাদগ্রস্ত ছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। একই দিনে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ থানা এলাকার মেরুয়ালে শোয়ার ঘর থেকে এক নার্সিং পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তিনি বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি নার্সিং কলেজে পড়াশোনা করতেন। কিন্তু কী কারণে এই ঘটনা তা এখনও অস্পষ্ট। এই দুই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরও এক নার্সিং পড়ুয়ার মৃত্যু হল। যে মৃত্যুতে খুনের অভিযোগ করছে তাঁর পরিবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy