বিভিন্ন দফতরের অনুমতি পেতে পুজো উদ্যোক্তাদের ঘোরাঘুরি বন্ধ করতে একই অফিসে যাবতীয় ছাড়পত্র দেওয়ার কাজ আগেই চালু হয়েছিল। এ বার অনলাইনে মহকুমাশাসকের অনুমতি নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে বাঁকুড়ায়। বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন নিজস্ব উদ্যোগেই পরীক্ষামূলক ভাবে এ বার পুজোর জন্য অনলাইনে আবেদন করার প্রক্রিয়াটি চালু করছে। জেলার তিন মহকুমাতেই এই সুবিধা মিলবে। পুজোর জন্য প্রশাসনের অনুমতি নেওয়ার পুরনো প্রক্রিয়াও চালু থাকছে।
বাঁকুড়ার জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, “আমরা পরীক্ষা মূলক ভাবে এ বছর থেকে অনলাইনে পুজোর অনুমতি নেওয়ার কাজ চালু করছি। অনলাইনে আবেদন করতে প্রথমদিকে পুজো কমিটিগুলির সমস্যা হতে পারে ভেবে পুরনো প্রক্রিয়াও আমরা চালু রাখছি।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া জেলায় সর্বজনীন পুজো হয় ৬৯৯টি। পারিবারিক পুজোর সংখ্যা আরও অনেক বেশি। জেলা প্রশাসন জানাচ্ছে, আগামী ২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বর এবং ৩ ও ৪ অক্টোবরের মধ্যে বাঁকুড়া সদর, বিষ্ণুপুর ও খাতড়া তিনটি মহকুমার পুজো কমিটিগুলিকে অনুমতি নিতে হবে সংশ্লিষ্ট মহকুমাশাসকের কাছ থেকে। অথবা ওই দিন গুলিতেই অনলাইনেও অনুমতি নেওয়ার আবেদন করা যাবে। এক আধিকারিক জানান, জেলা প্রশাসনের নিজস্ব ওয়েবসাইটে (http://bankura.gov.in) গিয়ে পুজো কমিটিগুলি নিজেদের যাবতীয় তথ্য দিতে পারবেন। সেখানেই দমকল, বিদ্যুৎ, পুলিশ প্রভৃতি দফতরের কাছ থেকে পাওয়া ছাড়পত্র বা ‘এনওসি’ স্ক্যান করে জমা করতে হবে। আবেদন জমা করারর পরেই পুজো কমিটি একটি ‘আইডি’ পাবে। ওই ওয়েবসাইটে পুজো কমিটির আইডি ধরেই জানা যাবে মহকুমাশাসকের ছাড়পত্র মিলেছি কি না। এ ছাড়া পুজো কমিটির কর্তার মোবাইল নম্বর ও ইমেল অ্যাকাউন্টেও প্রশাসনের তরফে মেসেজ পাঠিয়ে ছাড়পত্র পাওয়ার চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হবে। মহকুমাশাসক (বাঁকুড়া সদর) অসীমকুমার বালা বলেন, “পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অনলাইনে অনুমতি চাওয়ার আবেদন করার প্রক্রিয়া জানিয়ে দিয়েছি।”
যদিও অনলাইন পদ্ধতি জটিলই ঠেকছে বাঁকুড়ার পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের অনেকের কাছে। নতুনচটি সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সম্পাদক সৌমেন্দু মহান্তির কথায়, ‘‘অনলাইনে আবেদন করতে গেলে আলাদা আলাদা ভাবে দমকল, পুলিশ, বিদ্যুৎ ও পুরসভার দফতরে গিয়ে ছাড়পত্র নিয়ে আসতে হবে। তারপর মহকুমাশাসকের অনুমতি নিতে সেইসব ছাড়পত্র স্ক্যান করে ওয়েবসাইটে আপলোড করে আবেদন করতে হবে। তার চেয়ে জেলা প্রশাসন যে চারদিন পুজোর আবেদন নেওয়ার জন্য দিন ধার্য করেছে, সেই দিনগুলিতে সব ক’টি দফতরই প্রশাসনিক ভবনে একসঙ্গে বসে ছাড়পত্র দেবে। তাই সরাসরি আবেদন করার সাবেক পদ্ধতিই অনেক ভাল।’’ একই কথা শহরের অন্য পুজো কমিটির কর্তাদের মুখেও। তাঁদের মতে, অনলাইনে সব দফতরের ছাড়পত্র নেওয়ার ব্যবস্থা চালু করলে সেটাই কাজের হবে। জেলাশাসক সে ব্যাপারে আশ্বাসের কথা শুনিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy