ঝুঁকি নিয়েই চলছে নৌকাবিহার। মুকুটমণিপুরে। নিজস্ব চিত্র
পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট রয়েছে। দাবি করা হয়েছে, প্রতি বার ব্যবহারের পরে, জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে সেগুলি। কিন্তু সংক্রমণ ছড়ানোর ‘আশঙ্কা’ প্রকাশ করে, অনেক পর্যটক তা গায়ে তুলতে গড়িমসি করছেন বলে অভিযোগ। বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর জলাধারে নৌকাবিহারে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে।
মুকুটমণিপুর পর্যটনকেন্দ্রের কাছাকাছি রয়েছে পরেশনাথ শিবমন্দির, মুসাফিরানা পার্ক, ডিয়ার পার্কের মতো দর্শনীয় স্থান। সড়ক বেড়াতে আসা অনেক পর্যটক জলপথে সে সমস্ত জায়গায় যান। শনিবার দুপুরে লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই ভ্রমণ শেষে নৌকা থেকে নামতে দেখা গেল কলকাতার বেলেঘাটার বাসিন্দা প্রতিমা মণ্ডল ও শীলা মণ্ডলকে। তাঁরা বলেন, ‘‘জ্যাকেটগুলো কত জন গায়ে দিচ্ছে। আর খুলে ফেলার সঙ্গে সঙ্গে অন্যদের ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে না। তাই ঝুঁকি থাকলেও পরিনি।’’
মুকুটমণিপুর নৌকা বিহার সমবায় সমিতির সম্পাদক তারাপদ সিং সর্দার জানান, তাঁদের ৬০টি নৌকা রয়েছে। এক-একটিতে সর্বাধিক ২৫-২৬ জন নেওয়া হয়। আর লাইফ জ্যাকেট রয়েছে ১,৫০০টি। তিনি বলেন, ‘‘সংখ্যাটা পর্যাপ্ত। এক সঙ্গে সমস্ত নৌকায় কখনও যাত্রী হয় না। খুব বেশি হলে এক লপ্তে আট-দশটা নৌকা ছাড়ে। যাত্রীরা ফিরে এসে জমা দিলেই লাইফ জ্যাকেট জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে।’’ তাঁর অভিযোগ, অনেক যাত্রী লাইফ জ্যাকেট পরতে জোর করা হলে নৌকায় উঠছেন না। অনেকে নৌকা ছাড়ার পরে, খুলে ফেলছেন।
মুকুটমণিপুর উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারপার্সন তথা রানিবাঁধের তৃণমূল বিধায়ক জ্যোৎস্না মান্ডির দাবি, লাইফ জ্যাকেট ছাড়া, নৌকায় ভ্রমণের কথা তাঁর জানা নেই। তিনি বলেন, ‘‘সমিতিকে বলা হয়েছে, লাইফ জ্যাকেট ছাড়া কাউকে নৌকায় তোলা যাবে না আর ব্যবহারের পরে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। নিয়ম ঠিকঠাক মেনে চলা হচ্ছে কি না, খোঁজ নিচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy