অনাস্থা প্রস্তাব এনেও তলবি সভায় গেলেন না সিপিএমের সদস্যেরা। ফলে সোমবার হিড়বাঁধ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মণি কালিন্দীর বিরুদ্ধে অনাস্থা খারিজ হয়ে গেল। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১২ আসনের হিড়বাঁধ পঞ্চায়েতের ৮টিতে সিপিএম এবং ৪টিতে তৃণমূল জয়ী হয়েছিল। মাস ছয়েক আগে ওই পঞ্চায়েতের সিপিএমের প্রধান মণি কালিন্দী-সহ আরও দুই সদস্য শ্যামলী সোরেন এবং নমিতা বাউরি তৃণমূলে যোগ দেন। সম্প্রতি প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন পঞ্চায়েতের বাকি ৫ জন সিপিএম সদস্য। এ দিন সিপিএম সদস্যেরা পঞ্চায়েতে যাননি। সভায় যাননি প্রধান-সহ তৃণমূলের সদস্যরাও।
বিডিও (হিড়বাঁধ) শঙ্খশুভ্র দে বলেন, ‘‘অনাস্থার প্রস্তাবক-সহ কোনও সদস্যই এ দিন পঞ্চায়েতে আসেননি। আইন অনুযায়ী অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হয়েছ।’’ দলের সদস্যদের গরহাজিরা প্রসঙ্গে তৃণমূলের সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছেন সিপিএমের হিড়বাঁধ জোনাল কমিটির সম্পাদক শেখ ইউনিস। তিনি বলেন, ‘‘তলবি সভার দিন বাইরে থেকে প্রচুর লোক নিয়ে এসে এলাকায় ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছিল শাসকদল। প্রশাসন সব জেনেও হাত গুটিয়ে বসেছিল। আমাদের সদস্যরা প্রাণের ভয়ে পঞ্চায়েতে যাননি।’’ তবে তিন সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে অনাস্থা পাস করানো যে সহজ ছিল না তাও মেনে নিয়েছেন তিনি। যাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা সেই মণি কালিন্দীও বলছেন, ‘‘অনাস্থা পাস করাতে পারবে না জেনেই ওরা আসেননি।’’ সন্ত্রাসের অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের হিড়বাঁধ ব্লক সভাপতি ধীরেন্দ্রনাথ মাঝি বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনে এই ব্লক থেকে তৃণমূল প্রার্থী জ্যোৎস্না মান্ডি বিপুল ভোটে লিড পেয়েছেন। নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে সিপিএম অনাস্থা এনেছিল। আমাদের পক্ষে সাত জন পঞ্চায়েত সদস্য পঞ্চায়েত অফিসের সামনেই ছিলেন। যাঁরা অনাস্থা এনেছিলেন তাঁরাই না আসায় আমাদের সদস্যরা আর সভায় যাননি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy