প্রতীকী ছবি।
লোকসভা ভোটে ধাক্কা খাওয়ার পরেই জেলা স্তরে সংগঠনে কিছু রদবদল করেছিল তৃণমূল। বাঁকুড়াকে ভাগ করা হয়েছিল দু’টি সাগঠনিক জেলায়। দায়িত্ব দেওয়া হয় দু’জন আলাদা সাংসদীয় জেলা সভাপতিকে। এ বারে দুই সাংগঠনিক জেলায় দু’জন ‘কো-অর্ডিনেটর’ নিয়োগ করল রাজ্য নেতৃত্ব।
সোমবার কলকাতার কালীঘাটে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাঁকুড়ার তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের বাঁকুড়া সংসদীয় জেলা সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল ও বিষ্ণুপুর সংসদীয় জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা বলেন, “বিষ্ণুপুর সংসদীয় জেলায় শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায় ও বাঁকুড়া সংসদীয় জেলায় জয়ন্ত মিত্রকে কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দলীয় কর্মসূচিতে নেতারা যোগ দিচ্ছেন কি না তা খতিয়ে দেখে দলকে রিপোর্ট করবেন তাঁরা।’’
জেলায় দীর্ঘদিন ছাত্র ও যুব সংগঠন সামলেছেন শিবাজী। বর্তমানে তিনি বাঁকুড়া জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। জয়ন্ত মিত্র জেলা তৃণমূলের পরিচিত মুখ। শিবাজী বলেন, “দল আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে তা যথাসম্ভব পালন করব।” জয়ন্ত বলেন, “সবাই মিলে একজোট হয়ে কাজ করেই দলকে সাফল্য এনে দিতে চাই। সেই লক্ষ্যেই কাজ করব।”
এ দিকে, জেলা তৃণমূল নেতাদের একাংশ দাবি করেছেন, সম্প্রতি ওন্দায় সভা করতে গিয়ে দলের বাঁকুড়া জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী বিষ্ণুপুরের ‘কো-অর্ডিনেটর’ হিসেবে ওন্দার বিধায়ক তথা প্রাক্তন জেলা তৃণমূল সভাপতি অরূপ খাঁর নাম বলেছিলেন।
এ দিন ওই পদে শিবাজীর নাম ঘোষণার পরে অরূপবাবুর বক্তব্য, “দল যা ভাল বুঝেছে তা-ই করেছে। আমরা কেউই দলের ঊর্ধ্বে নই। তা ছাড়া, আমি তো বিধায়ক পদে রয়েছি।” দলের নেতাদের একাংশের ধারণা, লোকসভা ভোটে ওন্দায় তৃণমূলের প্রত্যাশিত ফল না হওয়াতে হয়তো অরূপবাবুকে শেষ পর্যন্ত ওই পদ দেওয়া হয়নি।
গত লোকসভা ভোটে বাঁকুড়া জেলার দু’টি কেন্দ্র, বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুরে হেরে গিয়েছে তৃণমূল। জেলার বারোটি বিধানসভা কেন্দ্রের সব ক’টিতেই ভোটপ্রাপ্তির নিরিখে তৃণমূলের থেকে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়াতে তৃণমূল যে বুথ কমিটিকে পাখির চোখ করছে, তা জানাচ্ছেন দলের নেতারা। শুভাশিসবাবু বলেন, “আমাদের লক্ষ্য, বুথ স্তরে শক্ত সংগঠন গড়া। সে জন্য দলের পুরনো কর্মীদের সক্রিয় করা আগে দরকার। সেই লক্ষ্য কাজ শুরু করেছি। শীঘ্রই জেলায় বুথ কমিটি গঠন শুরু হবে।”
কটাক্ষ করছেন বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র। তাঁর কথায়, ‘‘তৃণমূল নেতারা মানুষের ঘরে ঘরে ঘুরতে পারছেন না। তাই নজর রাখতে লোক রাখতে হচ্ছে।” তারাও সংগঠনকে ঢেলে সাজাচ্ছে বলে বিজেপি জানিয়েছে। দলের তরফে দাবি, রাজ্যের নেতারা জেলায় এসে বৈঠক করে যাচ্ছেন। শীঘ্রই বুথ কমিটি নির্বাচন হতে চলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy