রহস্যমৃত্যু: বৃদ্ধের পচাগলা দেহ উদ্ধার। সিউড়িতে। নিজস্ব চিত্র
ঘরের ভিতরে পড়ে এক বৃদ্ধের পচাগলা দেহ। কটূ গন্ধে টেকা দায়। তারই মধ্যে দেহ আগলে বসে মৃতের ভাইপো। বাড়ির উঠোনে মৃতদেহ বহনের বাঁশের মাঁচা, ঘরে দেহের শেষকৃত্যের সামগ্রী। বুধবার রাতে সিউড়ি থানা এলাকার বড়বাগান পাঁচেরপল্লির ঘটনা যেন কলকাতার রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের স্মৃতিই মনে করাল।
পড়শিদের দাবি, রাতে ওই বাড়ির সামনে কয়েক জনকে জড়ো হতে দেখে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই বাড়ির মালিক নির্মল মণ্ডলের দাদা অপূর্ব মণ্ডলের (৭৫) মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু কবে, কী ভাবে মৃত্যু তা স্পষ্ট না হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর যায় পুলিশের কাছে।
ঘটনাস্থলে দেখা যায়, দোতলা বাড়ির সদর দরজা দিয়েই ঢুকতেই একটি উঠোন। উঠোন পেরিয়ে বাড়ির মূল দরজা। তার কাছে পড়ে ‘ওয়াকিং স্টিক’। বাঁ দিকের ঘরের মাটিতে পড়ে অপূর্ববাবুর পচাগলা দেহ। তীব্র গন্ধ চারপাশে। খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিউড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
অপূর্ববাবুর ভাইপো পিয়ক মণ্ডলের দাবি, ‘‘মঙ্গলবার জেঠু মারা গিয়েছে। কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে জানি না।’’ কেন দেহ ঘরে রেখে দিয়েছিলেন? তিনি জানান, বাড়ির অন্য লোকেরা চিকিৎসার জন্য ভিনরাজ্যে গিয়েছেন, তাঁরা না ফেরা পর্যন্ত দেহ সৎকার করা যায়নি। ওই পরিবারের ঘনিষ্ঠ এক মহিলার দাবি, ‘‘কলকাতায় থাকি। বুধবার সকালে এই খবর পেয়ে সিউড়িতে এসেছি। আমার বোনপো পিয়ক মানসিক ভারসাম্যহীন। কী ভাবে কী হয়েছে জানি না’’
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই বাড়িতে নির্মল মণ্ডল, তাঁর স্ত্রী, দুই ছেলের সঙ্গে থাকতেন অপূর্ববাবু। বছর পাঁচেক ধরে তাঁরা ওই বাড়িতে থাকেন। পাড়ার লোকেদের সঙ্গে সে ভাবে ওই পরিবারের কারও মেলামেশা নেই। কী ভাবে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy