পুরুলিয়ায় বিক্ষোভের মুখে অর্জুন। নিজস্ব ছবি।
গত বছর তৃণমূলে যোগ দিলেও এখনও খাতায়-কলমে বিজেপির সাংসদ তিনি। উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের সাংসদ সেই অর্জুন সিংহ এ বার ‘দিদির দূত’ হিসাবে পুরুলিয়ার গ্রামে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন। শুধু তা-ই নয়, গ্রামে গিয়ে স্থানীয়দের কথা না-শোনারও অভিযোগ উঠল সাংসদের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে আনন্দবাজার অনলাইন অর্জুনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। জানিয়েছেন, সকলের অভাব-অভিযোগ শুনেই ফিরছেন তিনি।
শুক্রবার পুরুলিয়ায় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে রঘুনাথপুর-২ ব্লকের জোরাডি গ্রামে যান অর্জুন। সঙ্গে ছিলেন পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়াও। স্থানীয় একটি কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে কর্মসূচির কাজে বেরোন সাংসদ। কিন্তু প্রথম দিনেই গ্রামবাসীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। অর্জুনকে কাছে পেয়েই তাঁকে স্থানীয় সমস্যার কথা বলার চেষ্টা করেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু তাঁদের দাবি, সাংসদ সেই সব না শুনেই সেখান থেকে চলে গিয়েছে। জোরাডির বাসিন্দা মানিক রেওয়ানি বলেন, ‘‘বাড়িতে শৌচালয় নেই। সাংসদকে হাতের কাছে পেয়ে ভেবেছিলাম বলব। কিন্তু উনি দাঁড়ালেনই না।’’ আবাস যোজনার বাড়ি না পাওয়া, জল কষ্ট নিয়েও অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। গ্রামের বাসিন্দা সুচিত্রা মাহাতো বলেন, ‘‘যাঁদের পাওয়ার কথা নয়, তাঁরা আবাস যোজনার বাড়ি পাচ্ছেন। অথচ, আমরা প্রকৃত গরিব হওয়া সত্ত্বেও বাড়ি পাইনি। সাংসদকে সে কথাই বলেছিলাম। উনি শুধু বললেন, ‘ঠিক আছে। পাবেন, পাবেন।’ এই বলেই চলে গেলেন।’’
এ প্রসঙ্গে অর্জুন বলেন, ‘‘আমি সকলের কথাই শুনেছি। তাঁদের অভাব-অভিযোগ জেনেছি। সব ব্যবস্থা করা হবে।’’ সাংসদকে ঘিরে বিক্ষোভের বিষয়টি অস্বীকার করেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বও। সৌমেন বলেন, ‘‘আমাদের এখানে কোনও বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেনি। কর্মসূচির কাজ খুব ভাল ভাবেই হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy