Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
crime

ছেলেধরার গুজব, মার

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর স্বামীর বিবাদ চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। তাঁদের বাড়ি বাঁকুড়ার জয়পুরে। দম্পতির ছয় বছরের একটি ছেলে রয়েছে।

ঘটনাস্থলে: ভাঙচুর করা হয়েছে গাড়ি। নিজস্ব চিত্র

ঘটনাস্থলে: ভাঙচুর করা হয়েছে গাড়ি। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:৫৮
Share: Save:

স্বামীর হেফাজত থেকে ছেলেকে আনতে গিয়েছিলেন এক মহিলা। অভিযোগ, জোর করে ছেলেকে গাড়িতে তুলে তিনি এলাকা ছাড়তেই ‘ছেলেধরা’ গুজব ছড়িয়ে পড়ে। কয়েক কিলোমিটার ধাওয়া করে তাঁর গাড়ি ধরে ফেলেন মোটরবাইকে সওয়ার কয়েকজন। তারপরে ওই মহিলা, তাঁর এক আত্মীয় এবং গাড়িচালককে গাড়ি থেকে নামিয়ে চলে বেদম প্রহার। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে তাঁদের উদ্ধার করে। উত্তেজিত জনতা গাড়িটি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার দুপুরে বাঁকুড়া শহরের।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর স্বামীর বিবাদ চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। তাঁদের বাড়ি বাঁকুড়ার জয়পুরে। দম্পতির ছয় বছরের একটি ছেলে রয়েছে। গত বছর বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেছিলেন ওই মহিলা। তার আগে তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। যার জেরে মাস কয়েক জেল হেফাজতে থাকতে হয় স্বামীকে। পরে জামিন পেয়ে তিনি ছেলেকে নিয়ে বাঁকুড়া শহরে তাঁর দিদির বাড়িতে থাকতে শুরু করেন।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, ছেলেকে নিয়ে যেতে এ দিন এক আত্মীয়কে নিয়ে বাঁকুড়া শহরে ননদের বাড়ি আসেন ওই মহিলা। কিন্তু ভাইপোকে ছাড়তে রাজি ছিলেন না ননদ। দু’জনের বাগবিকণ্ডা হয়। অভিযোগ, এর পরো জোর করে ছেলেকে গাড়িতে তুলতে যান তার মা। তখনই ‘ছেলেধরা’ বলে চিৎকার জুড়ে দেন তাঁর শ্বশুরবাড়ি পক্ষের এক জন। ততক্ষণে ছেলেকে গাড়িতে তুলে এলাকা ছেড়েছিলেন তার মা।

ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বাইকে চেপে ওই মহিলার গাড়িটিকে ধাওয়া করেন। বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরে জুনবেদিয়া মোড়ে তাঁরা গাড়িটিকে আটক করেন। গাড়ি থেকে নামানো হয় ওই মহিলা, তাঁর সঙ্গে থাকা আত্মীয় এবং গাড়িচালককে। তার পরে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের। ভাঙচুর চালানো হয় গাড়িটিতে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করে তিন জনকে।

পুলিশ জানায়, ওই মহিলা, তাঁর ছেলে এবং আত্মীয়কে থানায় আনা হয়েছিল, পরে সেখানে আসেন মহিলার স্বামীও। দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়। কোনও পক্ষই পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। আলোচনা শেষে ছেলেকে নিয়ে তার বাবা চলে আসেন তাঁর দিদির বাড়িতে। মহিলা ফিরে
যান জয়পুরে।

অন্য বিষয়গুলি:

Bankura Crime
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy