পাঁচ দিন নিখোঁজ থাকার পরে এক যুবকের দেহ উদ্ধার হল। সোমবার সকালে পুঞ্চা থানার নাম ধুলিয়াপাড়া গ্রামের একটি মাঠ কুয়ো থেকে দেহটি উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম স্বপন সোরেন (৩৩)। বাড়ি পুঞ্চা থানার লোটো গ্রামে। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই গ্রামে যায়। সোমবার সকালে উদ্ধার করে দেখা যায়, দেহটি পচে গিয়েছে। কোমরে গামছা দিয়ে পাথর বাঁধা ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ের আগে থেকেই নামধুলিয়াপাড়ার এক মহিলার সঙ্গে স্বপনের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের পরে বিষয়টি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই অশান্তি লেগে থাকত। নামধুলিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, স্বপনের আসা নিয়ে ওই মহিলার পরিবারে অশান্তি লেগেছিল। কয়েক মাস আগে ওই মহিলার দুই দাদা স্বপনকে হুমকি দেন বলে অভিযোগ। স্বপনের স্ত্রী শ্রীমতী সোরেন ওই মহিলা এবং তাঁর দুই দাদার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তদের থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
ওই দম্পতি দিনমজুরি করে সংসার চালাতেন। শ্রীমতী পুলিশকে জানিয়েছেন, স্বপন প্রায়ই দু’-তিন দিন বাড়িছাড়া থাকতেন। তাঁর দাবি, বুধবার বাঁদনা পরব দেখতে বেরিয়ে আর ফেরেননি। তিনি ভেবেছিলেন, কোনও আত্মীয়ের বাড়ি চলে গিয়েছেন স্বপন। তাই থানায় খবর দেননি। সোমবার পড়শিদের থেকে খবর পেয়ে দেহটি শনাক্ত করেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ি থেকে বেরিয়ে স্বপন কোথায় গিয়েছিলেন তা জানার চেষ্টা চলছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই যুবককে খুন করা হয়েছে। মৃত্যু নিশ্চিত করতেই কোমরে গামছা দিয়ে পাথর বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। রাখাল এবং পথচারীদের আগে কেন দেহটি চোখে পড়ল না সেই প্রশ্নেরও উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy