Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪
Suri

নিয়ম উড়িয়ে সদরে দেদার বিক্রি পলাশ ফুল

বীরভূম, বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার মাটিতে প্রতি বছরই বসন্তের সময় প্রচুর পরিমাণে পলাশ ফুল ফোটে। লাল মাটিতে আগুন রঙা পলাশ মুগ্ধ করে সকলকেই।

সিউড়ির বড় ডাকঘর মোড়ে ডাল সমেত পলাশ বিক্রি। সোমবার।  ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়

সিউড়ির বড় ডাকঘর মোড়ে ডাল সমেত পলাশ বিক্রি। সোমবার। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়

সৌরভ চক্রবর্তী
সিউড়ি শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৩ ০৬:১০
Share: Save:

রঙের উৎসব উপলক্ষে খাস জেলা সদরেই দেদার বিকোচ্ছে পলাশ। নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ডাল সমেত পলাশ ঝোলানো রয়েছে দোকানের সামনে। সাধারণ মানুষ আসছেন, পলাশের মালা, পলাশ ফুল কিনেও নিয়ে যাচ্ছেন। বিক্রেতার দাবি, পলাশ ফুল তোলা বা পলাশের ডাল ভাঙা যে অপরাধ, তা তিনি জানেনই না। বন দফতরেরও দাবি, এই ধরনের ঘটনার কথা জানা নেই। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিয়ম থেকে যাচ্ছে ফাইলের আড়ালে, পলাশ নষ্ট হচ্ছে।

বীরভূম, বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার মাটিতে প্রতি বছরই বসন্তের সময় প্রচুর পরিমাণে পলাশ ফুল ফোটে। লাল মাটিতে আগুন রঙা পলাশ মুগ্ধ করে সকলকেই। কিন্তু নানা ভেষজ গুণে কারণে এবং পলাশ গাছের সংখ্যা ক্রমাগত হ্রাস পাওয়ায় বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই পলাশ ফুল তোলা বা পলাশের ডাল ভাঙা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে রাজ্যের বন দফতর। সিউড়ির মুখ্য ডাকঘরের সামনে যে সমস্ত ফুলের দোকান আছে, সোমবার সেখানে প্রায় প্রতিটি দোকানেই ঝুলতে দেখা গেল পলাশ ফুলের মালা। খদ্দেরও নেহাৎ কম নেই। মিনিট কুড়ি দোকানে দাঁড়ানোর মাঝেই অন্তত জনা দশেক মানুষ এলেন শুধুমাত্র পলাশের খোঁজে। শুধুই যে শখের জন্য এমন আগ্রহ তা নয়।কয়েক জন ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, মঙ্গলবার শহরের বিভিন্ন জায়গায় যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলি আয়োজিত হবে, সেখানেও নাচের গয়নার জন্য পলাশের মালা, বালা, মুকুট পরে আসার কথা বলা হয়েছে।

ফলে নিজের বা নিজের শিশু সন্তানের প্রয়োজনের তাগিদেও কিনতে হচ্ছে পলাশ। এমনকি ক্রেতাদের আকর্ষণের জন্য কয়েকজন বিক্রেতা আবার পলাশের ডাল ভেঙেই ঝুলিয়ে দিয়েছেন দোকানের সামনে। এমনই এক ফুল বিক্রেতা বলেন, “পলাশ ফুল ভাঙা বা বিক্রি করার উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা আছে, এ কথা আমার জানাই ছিল না। সব ফুল বিক্রেতাই দোল উৎসবের আগে পলাশের মালা বিক্রি করেন এখানে।’’

সিউড়ি থেকে আমজোড়া যাওয়ার পথে যে সারি সারি পলাশের গাছ, সেখান থেকেই এই ফুলের ডাল সংগ্রহ করেছেন বলেও ওই ফুল বিক্রেতা জানান। নিষেধাজ্ঞার কথা জানার পরই ওই ডালগুলিকে দোকানের সামনে থেকে সরিয়ে দেন শঙ্কর, তবুও চলতে থাকে বিকিকিনি।অন্যদিকে, জেলার সহকারি বন আধিকারিক শ্রীকান্ত ঘোষ বলেন, “এই ধরনের কোনও অভিযোগ আমরা পাইনি। তবে যদি এই কাজ হয়, তাহলে তা গর্হিত অপরাধ। আইন অনুযায়ী এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Suri Palash Flower
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy