গান-বাজনা-মতিচুর। প্রাচীন মল্ল রাজধানী বিষ্ণুপুরকে ঘিরে এই প্রবাদ মল্লভূমের মুখে মুখে ফেরে।
রসগোল্লার হক ওডিশার সঙ্গে লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছে বাংলাই। এ বার ওই পথেই বাংলার আর এক প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি বিষ্ণুপুরের মতিচুরের জি আই স্বীকৃতির দাবি উঠল। রবিবার রসগোল্লার বিশ্ববিজয় দিবসে বিষ্ণুপুরের রাস্তায় রাস্তায় মতিচুর লাড্ডু বিতরণ করে সেই দাবি তুললেন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা।
গান-বাজনা-মতিচুর। প্রাচীন মল্ল রাজধানী বিষ্ণুপুরকে ঘিরে এই প্রবাদ মল্লভূমের মুখে মুখে ফেরে। কিন্তু কি এই মতিচুর? জনশ্রুতি, আরাধ্য গোবিন্দের প্রসাদ হিসাবে বিশেষ সুস্বাদু মিষ্টি তৈরির জন্য এক মিষ্টি ব্যবসায়ীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মল্ল রাজা। ওই ব্যবসায়ী অনেক মাথা খাটিয়ে স্থানীয় পিয়াল গাছের বীজ সংগ্রহ করে তা থেকে বেসন তৈরি করেন। সেই বেসন ছোট ছোট দানা আকারে ভেজে তা থেকে তৈরি করেন লাড্ডু। যা দেখতে অনেকটা মোতির মতো। সে কারণেই এই লাড্ডুর নাম হয় মতিচুর।
রসগোল্লার জিআই স্বীকৃতি লাভের চতুর্থ বর্ষপূর্তিতে বিষ্ণুপুরের রাস্তায় পথ চলতি মানুষকে মতিচুর খাইয়ে জিআই স্বীকৃতির দাবি তুললেন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। বিষ্ণুপুরের মিষ্টি ব্যবসায়ী অসিতবরণ দত্ত বলেন, ‘‘জি আই স্বীকৃতি মিললে ইতিহাস প্রসিদ্ধ মতিচুর শুধু বিষ্ণুপুর বা বাংলায় নয়, বিশ্বের বাজার ধরতে পারবে। আমরা চাইব, এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করুক রাজ্য সরকার।’’
ব্যবসায়ীদের এই দাবিতে গলা মিলিয়ে বিষ্ণুপুর পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপারসন অর্চিতা বিদ বলেন, ‘‘আজ আমরা রসগোল্লা দিবস হিসাবে পালন করছি । এই রসগোল্লা দিবসে আমরা চাইব মতিচুরও জিআই স্বীকৃতি পাক। এর জন্য আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy