উদ্বোধনে জেলাশাসক। নিজস্ব চিত্র।
‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পে জেলার প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলে রেশন পৌঁছে দিতে বিশেষ প্রশাসন। পাশাপাশি, যে সব এলাকায় অতিদরিদ্র মানুষজন বসবাস করেন, তাঁদের কাছেও যাতে সময়ে রেশন পৌঁছয়, তা নিশ্চিত করতে কাজে লাগবে এই মানচিত্র, দাবি প্রশাসনের।
প্রশাসন জানাচ্ছে, জেলার প্রতিটি ব্লক ধরে আলাদা করে মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে। পোশাকি নাম, ‘দুয়ারে রেশন ইন পুরুলিয়া ম্যাপিং অ্যান্ড মনিটরিং’। জেলাশাসক রাহুল মজুমদার জানান, যাঁরা রেশনের উপরে খুব বেশি মাত্রায় নির্ভরশীল, তাঁরা যাতে সময়ে রেশন পান, সে লক্ষ্যে মানচিত্রটি তৈরি করা হয়েছে। তাঁর কথায়, “দুয়ারে রেশন প্রকল্পের জন্য প্রতিটি রেশন ডিলারের পরিষেবা এলাকাকে ছ’টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। জেলার অল্প কিছু এলাকা ভৌগোলিক ভাগে দুর্গম। সে এলাকাগুলিও কোনও না কোনও রেশন ডিলারের আওতায় পড়ে। ওই এলাকার বাসিন্দাদের কাছে রেশন সময়ে পৌঁছেছে কি না, মানচিত্র হাতে থাকলে নজর রাখতে সুবিধা হবে।”
জেলার মোট মৌজার সংখ্যা ২,৬৮৩টি। শেষ জনগণনা অনুযায়ী, জনসংখ্যার ৮৭.২৬ শতাংশই গ্রামে বসবাস করেন। পাশাপাশি, জেলার ৬,২৫৯ বর্গকিলোমিটারের অনেকটা অংশ জঙ্গলমহলের আওতায়। মানচিত্রে ‘চ্যালেঞ্জিং পকেটস: হার্ড টু রিচ’ শিরোনামে এক-একটি ব্লক ধরে সেখানে যে সমস্ত এলাকা দুর্গম বা সহজে পৌঁছনোয় সমস্যা রয়েছে, সেগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে।
যেমন, অযোধ্যা পাহাড়ের এমন কিছু গ্রাম রয়েছে, যেখানে এখনও গাড়ি পৌঁছতে পারে না। জেলার পাঁচটি ব্লকের অনেকটা জুড়ে রয়েছে পাহাড়ের গ্রামগুলি। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট ব্লকের কোন কোন এলাকায় দরিদ্র অর্থাৎ, স্বল্প আয়ের মানুষজন বসবাস করেন, মানচিত্রে আলাদা আলাদা ভাবে এলাকা ধরে উল্লেখ করা হয়েছে। শবর, বীরহোড় বা যাযাবর সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাসের অবস্থান দেখানো হয়েছে। সমীক্ষায় উঠে আসা কোন ব্লকের কোন এলাকায় এখনও রেশন কার্ড নেই, রয়েছে সে তথ্যও।
একই ভাবে, বিভিন্ন ব্লকের দুর্গম এলাকার তথ্যও আলাদা রং দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে মানচিত্রে। যেমন, বাঘমুণ্ডির ২৭২টি, বরাবাজারের ২০টি ও বান্দোয়ানের ১,৬৪৪টি পরিবারে কত সদস্য রয়েছেন তা উল্লেখ করে ভৌগোলিক কারণে ওই পরিবারগুলির সদস্যদের কাছে পৌঁছনো শক্ত, তার উল্লেখ রয়েছে মানচিত্রে।
কোভিড-পর্বে লকডাউন চলাকালীন জেলার পাড়া ব্লকের একটি পরিবারে খাদ্যসামগ্রী না পৌঁছনোর অভিযোগ ওঠার পরে, জেলার অন্য কোনও ব্লকে এমন কিছু ঘটেছে কি না, তার তদন্ত শুরু করে প্রশাসন। অন্য ব্লকগুলির গ্রাম বা টোলায় যাঁরা প্রধানত রেশনের উপরে নির্ভরশীল, সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিডিওদের সে তালিকা প্রস্তুত করতে বলা হয়েছিল। জেলাশাসকের প্রতিক্রিয়া, ‘‘কোনও মানুষ বা পরিবারকে যাতে খাবারের জন্য সমস্যায় না পড়তে হয়, তা নিশ্চিত করাই লক্ষ্য।” অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) মুফতি শামিম সওকত জানান, ডিলারের গাড়ি যতটা সম্ভব যাবে। সেখান থেকে মানুষজন রেশন নিতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy