কর্মসূচি: ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’-এর ঘোষণায় তৃণমূল। নিজস্ব চিত্র
আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে তৃণমূল। সোমবার নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বুধবার বিকেলে সিউড়িতে, জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে সেই কর্মসূচির জেলা স্তরে উদ্বোধন করলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী।
পরে সাংবাদিক বৈঠকে জেলার একাধিক বিষয় উঠে আসে সভাধিপতির বক্তব্যে। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া লিফলেটেও সেই প্রসঙ্গগুলির উল্লেখ রয়েছে। কিছুদিন আগেই নলহাটিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভায় বিপ্লব ওঝার যোগদান প্রসঙ্গ টেনে শাসক শিবিরের পাল্টা ব্যাখ্যা, বিজেপিরও অনেক নেতা দল ছেড়েছেন। উত্তর মালদহের বিজেপির (সাংগঠনিক) সাধারণ সম্পাদক বৈঠক শেষেই দল ছেড়েছেন। অথচ সেখানে মূল বক্তা ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আরও অনেকে বিজেপি ছাড়বেন বলেও দাবি করা হয়েছে ওই লিফলেটে।
সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ এ দিন তুলেছেন সদ্য বদলি হওয়া সাঁইথিয়া থানার ওসি-র প্রসঙ্গও। এই বদলি ঘিরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর অভিযোগ করেছিল বিরোধী শিবির। তৃণমূলের দাবি, পুলিশে বদলি তাদের নিজস্ব বিষয় এবং নিয়মিত হয়। তৃণমূল কংগ্রেস এই প্রশাসনিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না। পাশাপাশি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের বোলপুরে স্টপ দেওয়া প্রসঙ্গে তৃণমূলের বক্তব্য, জেলায় বিজেপির কোনও সংগঠন না-থাকায় একটি ট্রেন চালু করে মানুষকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্প নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ প্রশমিত করার জন্য তৃণমূল নেতা কর্মীদের উদ্যোগী হওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া যোগ্যদের পরবর্তী তালিকায় নাম দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। জেলায় সম্প্রতি বারবার অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। হয়েছে বিস্ফোরণও। সেই প্রসঙ্গে পুলিশের অভিযানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যাঁরা দোষী প্রমাণিত হবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
যদিও বিষয়টি গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপির সাংগঠনিক জেলা (বীরভূম) সভাপতি ধ্রুব সাহা। তাঁর পাল্টা দাবি, ‘‘বিজেপিতে প্রতিদিন কর্মী সংযোগ হচ্ছে। নলহাটিতেও অনেক লোক এসেছেন। আগামী দু-চারদিনের মধ্যে একটা বড় যোগদান হবে। তাই যিনি (বিকাশ) বলছেন, তিনিও বুঝতে পারছেন যে তৃণমূল দলটা ভাঙছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy