বন্ধ: হাসপাতালের ডায়ালিসিস ইউনিট। নিজস্ব চিত্র
ডায়ালিসিস করাতে আসা রোগীর শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের ডায়ালিসিস ইউনিট। এর জেরে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বহু রোগী ও তাঁর পরিজনদের। কবে ইউনিট চালু হবে তাও নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি কর্তৃপক্ষ।
প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ২৫ জন রোগী জেলা তো বটেই, পড়শি জেলাগুলির বিভিন্ন জায়গা থেকে ডায়ালিসিস করাতে আসেন। রবিবার ও সোমবারও বেশ কিছু রোগী ডায়ালিসিস করতে এসেছিলেন। কিন্তু শনিবারই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁদের ফিরে যেতে হয়। রবিবার বোলপুর রবীন্দ্রপল্লির বাসিন্দা কমল মেটে তাঁর মেয়ে তারা মেটেকে ডায়ালিসিস করানোর জন্য হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসতে হয় কমলবাবুকে।
সোমবার একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার বাসিন্দা শেখ রাজীবকেও। এ দিন গাড়ি ভাড়া করে ডায়ালিসিস করাতে বোলপুর হাসপাতালে এসেছিলেন তিনি। মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর থানা এলাকার বাসিন্দা হাসান মোল্লাও এ দিন গাড়ি ভাড়া করে ডায়ালিসিস করতে এসেছিলেন। সকলকেই ফিরে যেতে হয়। শেখ রাজীব বলেন, ‘‘আমাকে সপ্তাহে দুবার ডায়ালিসিস করাতে হয়। তাই এই লকডাউনের মধ্যেও কোনও রকমে ভাড়ার গাড়ি জোগাড় করে এসেছিলাম। এখানে এসে শুনলাম ডায়ালিসিস বন্ধ। কবে ডায়ালিসিস পরিষেবা চালু করা হবে সে ব্যাপারেও হাসপাতালের তরফ থেকে আমাদেরকে পরিষ্কারভাবে জানানো হয়নি। কোথায় যাব তাই এখন ভেবে পাচ্ছি না।’’ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার দীপ্তেন্দু দত্ত বলেন, ‘‘করোনা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসায় টেকনিশিয়ানদের সবাইকে হোম কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে। চেষ্টা করছি নতুন টেকনিশিয়ান জোগাড় করে আগামী দু-একদিনের মধ্যে ইউনিটটি চালু করার।’’
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই করোনা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন ডায়ালিসিস করতে আসা প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন রোগী। এ ছাড়াও ডায়ালিসিস ইউনিটের ৪ জন টেকনিশিয়ান ও দু’জন সাফাই কর্মী। তাঁদের প্রত্যেকেরই লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ওই রোগীর সংস্পর্শে হাসপাতালের আর কোনও স্বাস্থ্যকর্মী বা চিকিৎসক এসেছিলেন কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডায়ালিসিসের মতো অপরিহার্য পরিষেবা বেশিদিন বন্ধ রাখলে অন্য অনেক রোগী আরও সঙ্কটে পড়তে পারেন বলেও চিন্তা বেড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy