সাহায্যের আবেদন নিয়ে এলাকার মানুষজনের মিছিল। নিজস্ব চিত্র
কঠিন অসুখে আক্রান্ত মানবাজারের চার বছরের দেবস্মিতা দত্তের চিকিৎসার জন্য সোমবার পথে নামল মানবাজার।
দেবস্মিতা যে রোগে আক্রান্ত, চিকিৎসা পরিভাষায় তার নাম, ‘পিওর রেড সেল অ্যাপলাসিয়া’। যার অর্থ, তার শরীরে রক্ত তৈরি হচ্ছে না। এখন মাসে এক বার রক্ত দিতে হয় দেবস্মিতাকে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বয়স বাড়লে তাকে মাসে দু-তিন বার রক্ত দিতে হবে। দেবস্মিতাকে সুস্থ করে তোলার জন্য প্রয়োজন ‘স্টেম সেল ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন’। কিন্তু তার স্টেম সেলের সঙ্গে মিল নেই পরিচিত কারও স্টেম সেলের। মিল রয়েছে জার্মানির এক বাসিন্দার স্টেম সেলের।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ‘স্টেম সেল ট্রান্সপ্ল্যান্টেশনে’র খরচ ৩৫ লক্ষ টাকা। সেই অঙ্ক শুনে মাথায় হাত পড়েছে দেবস্মিতার বাবা নির্মলবাবুর। ঝাড়খণ্ডের ঝরিয়ায় এক সোনার দোকানের কর্মী নির্মলবাবুর রোজগার খুবই অল্প।
মানবাজারের পোদ্দারপাড়ার বাসিন্দা দেবস্মিতার চিকিৎসার জন্য অর্থ সাহায্যের আবেদন জানাতে পথে নেমেছিলেন তার বাবা এবং মা সুস্মিতা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন মানবাজারের কয়েকশো বাসিন্দা। ছিলেন ঝরিয়ার বাসিন্দা সমাজকর্মী পিনাকী রায় এবং সেখানকার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যেরা। তাঁরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর তহবিল থেকে মোট চার লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় তা নগণ্য। এ দিন হ্যান্ড বিল বিলি করে দেবস্মিতার চিকিৎসার জন্য অর্থ সাহায্যের আবেদন জানান তাঁরা। হ্যান্ড বিলে ছাপানো রয়েছে দেবস্মিতার অসুখের নাম, চিকিৎসার খরচ-সহ বেশ কিছু তথ্য। সেখানে দেওয়া রয়েছে নির্মলবাবুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নম্বর। মানবাজারের বাসিন্দা রাজা দত্ত বলেন, ‘‘সকলের থেকে আমরা সাহায্য চাইছি। অনুদান যত সামান্য হোক না কেন, আমরা তা আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করব।’’
চার মাস বয়স থেকে দেবস্মিতার চিকিৎসা চলছে। তাকে বাঁচিয়ে রাখার লড়াইয়ে নির্মলবাবুরা সঙ্গে পেয়েছেন ঝরিয়ার বহু মানুষকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy