Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Moving train

বাঁচানো গেল না চোখ

সাঁইথিয়ার বাসিন্দা মনোরঞ্জন বসাক নামে জখম ওই যাত্রীর পরিবার সূত্রে খবর, বুধবার বিকেলে ওই ঘটনার পর সিউড়ি, বর্ধমান হয়ে রাতে তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল

বুধবার ওই ঘটনার পরে সিউড়ি হাসপাতালে আক্রান্ত। ফাইল চিত্র

বুধবার ওই ঘটনার পরে সিউড়ি হাসপাতালে আক্রান্ত। ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা 
সিউড়ি শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:৪৩
Share: Save:

চলন্ত ট্রেন লক্ষ করে পাথর ছোড়ায় জখম যাত্রীর চোখ বাঁচানো গেল না।

সাঁইথিয়ার বাসিন্দা মনোরঞ্জন বসাক নামে জখম ওই যাত্রীর পরিবার সূত্রে খবর, বুধবার বিকেলে ওই ঘটনার পর সিউড়ি, বর্ধমান হয়ে রাতে তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে অস্ত্রোপচার হলেও চোখ বাঁচানো যায়নি। তাঁর শ্যালক তাপস বসাক বলছেন, ‘‘চিকিৎসক বলে দিয়েছেন বাঁ চোখ শেষ। এখনও কষ গড়িয়ে পড়ছে। সব চেয়ে চিন্তা জামাইবাবুর চিকিৎসার খরচ চালানো ও দিদির পরিবার নিয়ে।’’

বৃহস্পতিবার পূর্ব রেলের অণ্ডাল সাঁইথিয়া শাখার কচুজোড় আর সিউড়ি স্টেশনের মাঝে ঘটনাটি ঘটে। অণ্ডাল-সিউড়ি লোকাল ট্রেন ধরে দুবরাজপুর থেকে সিউড়ি আসছিলেন মনোরঞ্জন বসাক নামে বছর পঁয়তাল্লিশের ওই ব্যক্তি। সেই সময় বাইরে থেকে কেউ পাথর ছুড়লে সেটি ট্রেনের জানালায় ধাক্কা খেয়ে সরাসরি মনোরঞ্জনবাবুর বাঁ চোখে লাগে। গলগল করে চোখ ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে। রেল পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে সিউড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। সিউড়ি থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ, সেখান থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল মনোরঞ্জনবাবুকে।

সাঁইথিয়া ৬ নম্বর ওয়ার্ড মুরাডিহি কলোনির বাসিন্দা মনোরঞ্জনবাবু প্রান্তিক তাঁত শিল্পী। কোনও রকমে সংসার চালান। বৃহস্পতিবার মেয়ের বিয়ের সম্বন্ধ করতে এসেছিলেন দুবরাজপুরে। ফেরার পথে এ ভাবে চোখ হারানোয় রীতিমত বিপাকে তাঁর পরিবার। স্ত্রী কল্পনা বসাক বলছেন, ‘‘আমার ছেলের বয়স ১০ বছর। মেয়ে সবে আঠারো পেরিয়েছে। এই অবস্থায় যদি পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীর চোখ চলে যায় কী অবস্থা বুঝতেই পারছেন। আগামী দিনে কী ভাবে চলবে জানি না। প্রতিবেশীদের কাছে টাকা নিয়ে চিকিৎসার খরচ জোগাতে হচ্ছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Moving Train Crime Local Train
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE