মাকে খুন করায় গ্রেফতার বিক্রম মণ্ডল।—নিজস্ব চিত্র।
ইলেকট্রিক ইস্ত্রির তার গলায় পেঁচিয়ে মাকে খুন করার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার রাতে ইন্দাস থানার বাগিচাবাঁধ গ্রামের বাড়ি থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম বিক্রম মণ্ডল। বয়স ২০ বছর। অভিযোগ, খুনের পরে বছর বারোর দুঃসম্পর্কের এক পড়শি বোনকেও শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে বিক্রম। ওই কিশোরীকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা করানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাতেই মিতা মণ্ডল (৪০) নামে ওই বধূ খুন হন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিক্রম উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পরে বর্তমানে শিক্ষকতার প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। ঘটনার দিন বিক্রমের বাবা বাড়িতে ছিলেন না। বিক্রম বিষ্ণুপুরে কাজ সেরে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরেন। রাত ৮টা নাগাদ ওই বাড়ি থেকে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে পড়শিরা ছুটে যান। পড়শিদের একাংশের দাবি, সেই সময় বিক্রম ওই কিশোরীর উপরে চ়ড়াও হয়েছিল। পাশেই পড়েছিল মিতাদেবীর গলায় তার পেঁচানো দেহ।
পড়শিরাই পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে ওই যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। মিতাদেবীকে ইন্দাস ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে বিক্রমের বাবা, পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক হারাধন মণ্ডলও ফিরে আসেন। মায়ের সঙ্গে অন্য এক ব্যক্তির ঘনিষ্ঠতা নিয়ে সন্দেহের কারণে বিক্রম খুন করে থাকতে পারে বলে স্থানীয় সূত্রে জানতে পেরেছে পুলিশ। যদিও বিক্রমের বাবার দাবি, ছেলে মানসিক ভাবে অসুস্থ। বর্ধমানে তার চিকিৎসাও চলছে।
ঘটনার পরে মিতাদেবীর বাবা, সোনামুখী থানার কুলডাঙা গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জীবন পাত্র বিক্রমের বিরুদ্ধে ইন্দাস থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতেই বিক্রমকে গ্রেফতার করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরা জানান, খুনে ব্যবহৃত তারটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ধৃতকে আদালতে তোলা হলে ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তবে প্রহৃত কিশোরীর পরিবারের তরফে থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। পড়শিদের একাংশের অনুমান, খুনের সময়ে ঘটনাস্থলে চলে আসায় ওই কিশোরীর উপরে চড়াও হয়ে থাকতে পারে বিক্রম। এ দিন আদালতে তোলার সময় বিক্রম কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি।
অনলাইন শংসাপত্র। জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্রের অনলাইন ব্যবস্থা চালু হল আড়রা পঞ্চায়েতে। মঙ্গলবার রঘুনাথপুর ২ ব্লকের ওই পঞ্চায়েত এলাকার দু’জনের পরিবারের হাতে মৃত্যুর শংসাপত্র তুলে দেন বিডিও পূর্বিতা চট্টোপাধ্যায়। সাধারণ মানুষের হয়রানি কমাতে এই ব্যবস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy