প্রতীকী ছবি।
পর পর গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। হঠাৎ একটি ট্রাকের কেবিনে উঁকি মারতেই চমকে ওঠেন পুলিশ কর্মীরা। হাত-পা দড়ি দিয়ে বাঁধা এক ব্যক্তি কেবিনে পড়ে রয়েছেন। বেগতিক বুঝে চালক পালানোর চেষ্টা করতেই তাকে পাকড়াও করেন পুলিশ কর্মীরা। বুধবার রাতে ইন্দাসের সামড়োঘাটে নাকা তল্লাশির সময়ে কেবিন থেকে উদ্ধার হন কোতুলপুর বাজারের খাবারের দোকানি হারাধন ঘোষ। তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে পুলিশ ট্রাকের চালক শেখ মোবিয়ানকে গ্রেফতার করে। তার বাড়ি ইন্দাস থানার প্রতাপপুরে। ট্রাকটিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরার মুখে মোবিয়ান তাদের কাছে হারাধনকে অপহরণ করার কথা স্বীকার করেছে। বৃহস্পতিবার বিষ্ণুপুর আদলতে মোবিয়ানকে তোলা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, গোলমালের সূত্রপাত বুধবার সকালে। ট্রাকের মেরামতি করতে এসেছিলেন মোবিয়ান। কোতুলপুর বাজারে নেতাজি মোড়ের বাসিন্দা হারাধনের দোকানে খাবার খেতে যায় মোবিয়ান। অভিযোগ, খাবার খেয়ে দাম মেটানো নিয়ে মোবিয়ানের সঙ্গে হারাধনের ঝগড়া বাঁধে। স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে তা তখনকার মতো মিটেও যায়। পুলিশের দাবি, রাগ পুষে রেখেছিল মোবিয়ান। বিকেলের দিকে কোতুলপুর থেকে বার হওয়ার সময় রাস্তা দেখিয়ে দেওয়ার জন্য সে হারাধনকে ডাকে। তারপরে তাকে ট্রাকে তুলে নিয়ে পগাড় পাড় হয়। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। কোতুলপুর-ইন্দাস থানার সীমানায় সামড়োঘাট এলাকায় নাকা তল্লাশির সময়ে ধরা পড়ে যায় মোবিয়ান।
তবে হারাধন নিখোঁজ হওয়ার পরেই তাঁর পরিজনেরা খোঁজ-খবর করতে শুরু করেছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, হারাধনের স্ত্রী রাতে কোতুলপুর থানায় একটি নিখোঁজের ডায়েরিও করেন। ইন্দাস থানাতেও সেই খবর সঙ্গে সঙ্গেই চলে আসে। তারপরে তল্লাশির সময়ে হারাধন উদ্ধার হয়। রাতেই হারাধনের ছেলেকে ইন্দাস থানায় ডেকে পাঠানো হয়। তিনি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy