সুলভ কর্মকার। ফাইল ছবি
বিশ্বভারতীর হস্টেলে হামলায় অভিযুক্তদের অন্যতম, সুলভ কর্মকারকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন সুলভ। রবিবার তাকে ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করে বীরভূম জেলা পুলিশ।
বুধবার রাতে বিশ্বভারতীর বিদ্যাভবন হস্টেলে ছাত্রদের উপর হামলার ঘটনায় উঠে এসেছিল তিনজনের নাম। তাঁরা হলেন অচিন্ত্য বাগদি, সাবির আলি বক্স ও সুলভ কর্মকার। বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো ফুটেজেও এই তিনজনকে দেখা গিয়েছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুলভের বাড়ি বীরভূমের নানুর থানার বাসাপাড়ায়। তিনি বিশ্বভারতীর ইতিহাস বিভাগের বিএ তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। সুলভের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বুধবার রাতের অন্ধকারে বিশ্বভারতীর বিদ্যাভবন হোস্টেলের সামনে সে আক্রান্ত স্বপ্ননীল মুখোপাধ্যায় ও দেবব্রত নাথদের পথ আটকে হুমকি দিতে থাকে। এরপরই অচিন্ত্য বাগদি ও সাবির আলির নেতৃত্বে লাঠি, উইকেট, রড দিয়ে রাস্তার মধ্যেই পেটানো হয় স্বপ্ননীল ও দেবব্রতকে। অভিযোগ, সেই মারধরে শামিল ছিল সুলভও। মূল অভিযুক্ত অচিন্ত্য ও সাবিরকে বৃহস্পতিবারই শ্রীনিকেতন কৃষক বাজার থেকে গ্রেপ্তার করে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সুলভকে ইতিহাস বিভাগের সামনে ঘোরাফেরা করতে দেখেন অনেকই। কিন্তু দুপুরে অচিন্ত্য ও সাবির গ্রেফতার হওয়ার পরেই নিজের ফোনটি বন্ধ করে গা ঢাকা দেয় সুলভ।
ঘটনার পরে চার দিন কেটে যাওয়ার পর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বীরভূম জেলা পুলিশ ঝাড়খণ্ডের সীমানা এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালায়। সেখানেই পুলিশ জানতে পারে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গা ঢাকা দিয়েছিল সুলভ। এ দিন ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা থেকে অভিযুক্ত সুলভকে গ্রেফতার করে বীরভূম জেলা পুলিশ । পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে সুলভকে নিয়ে আসা হবে বীরভূম। সোমবার তাকে বোলপুর আদালতে তোলা হবে।
সুলভের গ্রেফতারি নিয়ে সে দিনের আক্রান্ত ছাত্র দেবব্রত নাথ বলেন, ‘‘বীরভূম পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে যে কাজ করেছে সে জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানাই। সেই দিনের ঘটনায় যে সমস্ত বহিরাগত গুন্ডারা ছিল তাদেরও যেন গ্রেফতার করা হয় ও উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হয়।’’ জেলার এক শীর্ষ পুলিশ কর্তা বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্তে একটি দল তৈরি করা হয়েছিল। সেই দল তল্লাশি চালিয়ে ঝাড়খণ্ড থেকে সুলভকে গ্রেফতার করে। সোমবার তাকে বোলপুর আদালতে তোলা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy