Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
admit card facebook socal media

সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘পোস্ট’, ফিরল অ্যাডমিট 

বাঁকুড়ার পাত্রসায়রের কৃষ্ণনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষার সিট পড়েছে বীজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র অনিমেষ মণ্ডলের। পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার সময় ভগবতীপুরের বাসিন্দা অনিমেষ তাঁর অ্যাডমিট কার্ডটি সঙ্গে নিতে ভুলে যান।

 হারানো প্রাপ্তি। নিজস্ব চিত্র

হারানো প্রাপ্তি। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
পাত্রসায়র শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২০ ০২:৪৯
Share: Save:

‘সোশ্যাল মিডিয়া’র সৌজন্যে হারানো অ্যাডমিট কার্ড ফিরে পেলেন এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার পরীক্ষা শুরুর ৪৫ মিনিট পরে তাঁর কাছে অ্যাডমিট কার্ড পৌঁছে দেওয়া হয়। পরীক্ষা দিতে ওই ছাত্রের কোনও অসুবিধা হয়নি।

বাঁকুড়ার পাত্রসায়রের কৃষ্ণনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষার সিট পড়েছে বীজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র অনিমেষ মণ্ডলের। পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার সময় ভগবতীপুরের বাসিন্দা অনিমেষ তাঁর অ্যাডমিট কার্ডটি সঙ্গে নিতে ভুলে যান। পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে তিনি দেখেন, অ্যাডমিট কার্ড সঙ্গে আনেননি। এর পরে অনিমেষের বাড়িতে খবর পাঠানো হয়। তড়িঘড়ি অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ছোটেন তাঁর দাদা সুব্রত মণ্ডল। কিন্তু পথে অ্যাডমিট কার্ডটি যে পড়ে গিয়েছে, তা খেয়াল ছিল না সুব্রতবাবুর। পরে বিষয়টি নজরে এলে অ্যাডমিট কার্ড হারানোর খবর পাঠানো হয় বীজপুর উচ্চ বিদ্যালয়। সেখান থেকে কৃষ্ণনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে খবর যায়। অ্যাডমিট কার্ড ছাড়া পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকেন অনিমেষ।

অ্যাডমিট কার্ড হারানোর বিষয়টি জেনেই ‘সোশ্যাল মিডিয়া’য় একটি ‘পোস্ট’ করেছিলেন বীজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি অরূপ সরকার। আধ ঘণ্টার মধ্যেই অনিমেষের অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে স্কুলে হাজির হন রামসুন্দর মণ্ডল এবং অনুপ ঘোষ নামে স্থানীয় দুই বাসিন্দা। রামসুন্দরবাবু জানান, অ্যাডমিট কার্ড হারানোর ‘পোস্ট’টি তাঁর নজরে এসেছিল। বাজারে যাওয়ার পথে তিনি এবং অনুপবাবু রাস্তায় একটি প্যাকেট কুড়িয়ে পান। ব্যাগ খুলে দেখেন সেখানে রয়েছে এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ড। বুঝতে অসুবিধা হয়নি, ওই ছাত্রের অ্যাডমিট হারানোর খবরই ‘পোস্ট’ করেছিলেন অরূপবাবু। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা পৌঁছে যান অরূপবাবুর কাছে। অনিমেষের অ্যাডমিট কার্ড তাঁর পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন অরুপবাবু।

অনিমেষের কথায়, ‘‘অ্যাডমিট হারিয়ে চিন্তা হচ্ছিল। পরীক্ষায় মনসংযোগ করতে সমস্যা হচ্ছিল। যদিও পরিদর্শকেরা আমাকে দুশ্চিন্তা করতে মানা করছিলেন। পরীক্ষা শুরুর প্রায় ৪৫ মিনিট পরে তাঁদেরই এক জন আমাকে খবর দেন, অ্যাডমিট পাওয়া গিয়েছে। তখন ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ে।’’ অরূপবাবুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলাম বলেই অ্যাডমিট পাওয়া গেল’’ রামসুন্দরবাবু এবং অনুপবাবুকে ধন্যবাদ দেন তিনি।

অন্য বিষয়গুলি:

admit card social media Facebook
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy