বান্দোয়ান কলেজে পেনশনের জন্য ফর্ম ভরা। ছবি: রথীন্দ্রনাথ মাহাতো।
‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে সরকারি প্রকল্পগুলিতে নাম নথিভুক্ত করতে কম-বেশি ভিড় হচ্ছে। তবে পুরুলিয়ার বান্দোয়ান, রঘুনাথপুর ১ ব্লকের শিবিরে শনিবার বেশি মানুষকে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন ভাতার জন্য আবেদন জানাতে।
বান্দোয়ানের সুপুডি পঞ্চায়েতের চিলা গ্রামের শিবিরে গিয়ে দেখা গেল, অনেকটাই বেশি ভিড় বিবিধ কাউন্টারে। বার্ধক্যভাতার আবেদন জানাতে হাজির হয়েছেন অনেকে। লাইনে দাঁড়ানো বান্দোয়ানের বরাগাড়ি গ্রামের সুশীলা মাঝি, চিলা গ্রামের আদরি মাঝিরা জানান, ষাট বছর পেরনোর পরেই পঞ্চায়েত ও ব্লকে ভাতার জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু ভাতা মেলেনি। শিবিরে আবেদন করলে ভাতা মিলবে শুনে এসেছেন।
তবে দিনের শেষে ভাতার বিষয়ে প্রশাসনের কর্মীদের তরফে আশ্বাস ছাড়া কিছু মেলেনি বলেই দাবি তাঁদের। জানালেন, আবেদনপত্র জমা দিয়ে পরের শিবিরে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে।
একই ছবি দেখা গিয়েছে, রঘুনাথপুর ১ ব্লকের শাঁকা পঞ্চায়েতের শাঁকা গ্রামের শিবিরে। বিধবাভাতার আবেদন জানাতে শিবিরে আসা বছর চুয়ান্নর রিঙ্কু সুপকারের দাবি, বারো বছর আগে স্বামীর মৃত্যুর পরে, বহু বার বিভিন্ন মহলে বিধবা ভাতার জন্য আবেদন জানালেও সুরাহা হয়নি। এখানেও পরের শিবিরে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
পাশাপাশি, শিবিরে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে ‘জব-কার্ড’-এর আবেদন জানাতে আসা রামের বাগিচা গ্রামের দম্পতি বাবলু বাউরি ও বুনি বাউরিরা জানান, লোকের জমিতে কয়েক মাস ভাগচাষ করেন। ‘জব-কার্ড’ না থাকায় একশো দিনের কাজ মেলে না। পঞ্চায়েতে আবেদন করেও ওই কার্ড পাননি বলে অভিযোগ। জব-কার্ড পাওয়ার আশায় শিবিরে এসেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy