Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

যেন ‘চক্রব্যূহে’ আটকে গিয়েছি

অমিয়বাবুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘গত বিধানসভা ভোটের তুলনায় এ বার ভোট তুলনায় শান্তিতে হয়েছে। ছাপ্পার অভিযোগ আর কোথাও পাইনি। তবে, কোথাও কোথাও ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ পেয়েছি।’’

 আঘাতের চিহ্ন দেখাচ্ছেন বাম প্রার্থী অমিয় পাত্র। নিজস্ব চিত্র

আঘাতের চিহ্ন দেখাচ্ছেন বাম প্রার্থী অমিয় পাত্র। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা 
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৯ ০১:২০
Share: Save:

কারও হাতে দুষ্কৃতীদের নখের আঁচড় লাগল। কেউ আবার দুষ্কৃতীদের হাত থেকে বাঁচতে চরকির মতো ঘুরে বেড়ালেন একই এলাকায়। রবিবার ভোট শেষে এমনই অভিযোগ তুললেন বাঁকুড়া কেন্দ্রের সিপিএম ও বিজেপি প্রার্থী।

এ দিন সকাল সাড়ে পাঁচটায় তালড্যাংরায় নিজের বাড়ি থেকে ভোট দেখতে বেরিয়ে পড়েন সিপিএম প্রার্থী অমিয় পাত্র। নিজের এলাকায় ঘোরাঘুরি সেরে চলে যান বাঁকুড়া শহরে। সেখানে কয়েকটি বুথে ঘোরাঘুরির পরে তিনি যান গঙ্গাজলঘাটি ও মেজিয়ায়। অমিয়বাবুর অভিযোগ, ‘‘মেজিয়ার জেমুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই বুথের মধ্যে একটিতে ঢুকে দেখি এক যুবক অন্য মহিলার ভোট দিচ্ছেন। আমি তাঁকে ধরে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে নিয়ে যাই। বেরোতেই ছেঁকে ধরে একপাল ছেলে।’’ তিনি জানান, কোনও রকমে বেরিয়ে আসেন। পুলিশ থাকলেও বাঁচাতে আসেনি। সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার দলীয় অফিসে বসে ডান হাত তুলে দেখান কনুইয়ের উপরে নখের আঁচড়। বলেন, ‘‘ধস্তাধস্তিতে চশমা খুলে পড়েছিল। ভাগ্যে ভাঙেনি।’’

মেজিয়া থেকে বেরিয়ে তিনি শালতোড়া, রঘুনাথপুর বিধানসভা এলাকায় তিনি ঘোরেন। কেমন দেখলেন ভোট? অমিয়বাবুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘গত বিধানসভা ভোটের তুলনায় এ বার ভোট তুলনায় শান্তিতে হয়েছে। ছাপ্পার অভিযোগ আর কোথাও পাইনি। তবে, কোথাও কোথাও ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ পেয়েছি।’’

এ দিন সকাল সাতটায় নিজের বুথে গিয়ে ভোট দেন বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার। গঙ্গাজলঘাটি, মেজিয়া হয়ে শালতোড়ার ছাতারকানালিতে তিনি যান। তাঁর অভিযোগ, ‘‘ওই বুথে ঢুকে দেখি ছাপ্পা ভোট হচ্ছে। প্রতিবাদ করতেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বুথের বাইরে হামলা চালায়। কোনও রকমে গাড়িতে চড়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যাই। কিছুদূর গিয়ে রাস্তায় আবার দুষ্কৃতীদের জমায়েত দেখতে পাই। কিছুতেই এলাকা থেকে বের হতে দিচ্ছিল না। কোনওরকমে একটি গ্রামে গিয়ে বাসিন্দাদের কাছ থেকে চা, সরবত খাই। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে বিকেলে সেখান থেকে বেরিয়ে আসি। যেন চক্রব্যূহে আটকে দিয়েছিল।’’

সুভাষবাবু সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে অভিযোগ করেন, ‘‘বহু জায়গায় ছাপ্পা ভোট পড়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। ভাল করে খোঁজ নিচ্ছি। কোথায় কোথায় পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানাব, তা নিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করছি।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি অরূপ খাঁয়ের দাবি, ‘‘বিজেপি প্রার্থী সশস্ত্র বহিরাগতদের নিয়ে শালতোড়ায় একটি বুথে ঢুকতে গিয়েছিলেন বলে শুনেছি। সাধারণ মানুষ তা প্রতিরোধ করেন।’’ যদিও তা মানতে চাননি সুভাষবাবু।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE