শান্তিনিকেতনে কোপাই নদী ফুলেফেঁপে উঠেছে একটানা বৃষ্টিতে। কোপাইয়ের জল ঢুকেছে কঙ্কালীতলা মন্দিরেও। বন্ধ করা হয়েছে মন্দিরের প্রবেশদ্বার। নিজস্ব চিত্র।
বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে এক টানা বৃষ্টি হয়েছে বোলপুর ও ইলামবাজারের বিস্তীর্ণ এলাকাতেও। রাতেই বোলপুর স্টেশনে রেললাইন জলের তলায় চলে যায়। তাতে কিছুটা অসুবিধা হলেও ট্রেন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটেনি বলে জানিয়েছেন রেলের আধিকারিকেরা।
কঙ্কালীতলা মন্দিরও জলমগ্ন হয়ে যায় শুক্রবার সকাল থেকে। যার কারণে মন্দিরের গর্ভগৃহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে অজয় নদও। এ দিন বিকেলে অজয়ের জলের তোড়ে ভেসে যায় নদের উপরের অস্থায়ী রাস্তা। যার ফলে পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূম জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অজয় তীরবর্তী ইলামবাজার ব্লকের জয়দেব, ঘুরিষা, বিলাতি ও ধরমপুর—এই চার পঞ্চায়েতের বেশ কিছু গ্রাম ইতিমধ্যেই জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বহু বাড়ি ও দোকানঘরে জল ঢুকতে শুরু করেছে। বেশ কিছু কাঁচাবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
মৎস্যজীবী থেকে শুরু করে কেউ যেন অজয়ে না-নামেন, তার জন্য ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে মাইকিং করে সর্তকতা জারি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি অজয় তীরবর্তী ও বন্যাপ্রবণ অঞ্চলের ৩০টি পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে। নদের জল বাড়লে দুর্গতদের থাকার জন্য বোলপুর মহকুমা এলাকার কিছু স্কুলকেও চিহ্নিত করার কাজ শুরু করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এ দিন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ওই এলাকা পরিদর্শনে যায় বিডিও (ইলামবাজার) অনির্বাণ মজুমদার-সহ প্রশাসনের একটি প্রতিনিধিদল।
গ্রামবাসী শ্যামল বাউড়ি, সঞ্জীব মেটেরা বলেন, “এক দিনের এই বৃষ্টিতেই বহু এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করেছে। বেশ কিছু বাড়িও ভেঙেছে। আমরা চাই প্রশাসন আমাদের পাশে দাঁড়াক।” মহকুমাশাসক (বোলপুর) অয়ন নাথ বলেন, “ পরিস্থিতির উপরে আমরা নজর রেখেছি।
বেশ কিছু পরিবারকে নদী তীরবর্তী এলাকা নিরাপদ স্থানে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।”
গোয়ালঘরে আগুন
রামপুরহাট: শর্ট সার্কিটের জেরে গোয়ালঘরে আগুন লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হল গবাদি পশুর। শুক্রবার ভোরে রামপুরহাট থানার কুমাড্ডা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনায় দু’টি গরু এবং তিনটে ছাগল পুড়ে মারা যায়। এলাকায় দমকলের একটি ইঞ্জিন পৌঁছলেও আগুন নেভাতে সময় লেগে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy