Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Rampurhat

ফের তিনটি বোমা উদ্ধার খরাসিনপুরে, ক্ষুব্ধ এলাকা

মহম্মদবাজারের দিঘলগ্রামে বাড়ি হলেও আরমান মল্লারপুরের খরাসিনপুরে মামারবাড়ি বেড়াতে এসেছিল।

বোমার খোঁজ মল্লারপুরের খরাসিনপুরে। বৃহস্পতিবার। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম

বোমার খোঁজ মল্লারপুরের খরাসিনপুরে। বৃহস্পতিবার। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম

অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 
রামপুরহাট শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:৫৫
Share: Save:

এখনও বিপদ কাটেনি বোমা ফেটে জখম সাত বছর বয়সী আরমানের। দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরমানের আজ, শুক্রবার হাত ও পায়ে অস্ত্রোপচার করা হবে। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার ফের বোমা উদ্ধার হল মল্লারপুরের খরাসিনপুরে।

মহম্মদবাজারের দিঘলগ্রামে বাড়ি হলেও আরমান মল্লারপুরের খরাসিনপুরে মামারবাড়ি বেড়াতে এসেছিল। বুধবার বিকেলে মামারবাড়ির একটি মিল সংলগ্ন মাঠে খেলা করতে গিয়ে বল ভেবে পড়ে থাকা একটি বোমায় লাথি মারতেই বিপত্তি ঘটে। দুই পা এবং হাত গুরুতর জখম হয় আরমানের। ঘটনায় আরমানের সঙ্গী এবং আত্মীয় আরও তিন জন বালক জখম হয়। ওই তিন জন রামপুরহাট মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন।

খরাসিনপুরের ওই ঘটনাস্থল থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে সিআইডির বম্ব স্কোয়াড আরও তিনটি তাজা বোমা উদ্ধার করে। এলাকা থেকে একটু দূরে ফাঁকা মাঠে বোমা তিনটি নিষ্ক্রিয় করা হয়। এলাকার বাসিন্দারা জানান, যে তিনটি বোমা এ দিন বিকেলে উদ্ধার হয়েছে সেগুলি বুধবার কোনও ভাবে ফেটে গেলে আরও বড় বিপদ ঘটত। রামপুরহাট মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন দুই ভাই, চতুর্থ শ্রেণির ইনলাল শেখ ও দ্বিতীয় শ্রেণির রেহান শেখদের মা ইয়াসমিন বিবির ক্ষোভ, ‘‘যারা বোমা মজুত রেখেছিল পুলিশ তাদের খুঁজে বার করুক। তাদের চরম শাস্তির দাবি করছি। ভবিষ্যতে যাতে এ রকম কাণ্ড না ঘটে সে জন্য পুলিশের নজরদারি বাড়ানো উচিত।’’

গত বছরের ২১ মার্চ বগটুই-কাণ্ডের পরে ২৪ মার্চ গ্রামে এসে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে তথা জেলায় মজুত বোমা উদ্ধারের নির্দেশ দেওয়ার পরেও বীরভূম জেলা জুড়ে একের পর এক বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে। জেলায় পুলিশ সুপারের বদল ঘটলেও তা থামেনি। বল ভেবে খেলতে গিয়ে মজুত বোমা ফেটে গিয়ে নিরীহ বালকের মৃত্যু, চোখ নষ্টের ঘটনাও ঘটেছে। বুধবার খরাসিনপুরের ঘটনায় একজন বালকের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। আরও তিন বালকের মধ্যে একজনের পায়ে, এক জনের মাথায় ও এক জনের চোখে আঘাত রয়েছে।

বছরখানেক আগে রামপুরহাট পুরসভা নির্বাচনের আগে শহরের মহাজন মোড় সংলগ্ন এলাকাতে পরিত্যক্ত জায়গায় আবর্জনা থেকে বোতল কুড়োতে গিয়ে বোমা ফেটে জখম হয়েছিল ঝাড়খণ্ডের পাকুড় এলাকার এক কিশোর। বোমা উদ্ধার করার ক্ষেত্রে পুলিশের ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, খরাসিনপুরে মাঠে বোমা মজুত করে রাখার মতো ঘটনা গত এক বছরে ঘটেনি। জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে বোমা মজুত রেখেছিল পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। বিভিন্ন থানা থেকেই বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট খবর পেলে বোমা উদ্ধারের অভিযানও চালুও আছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Rampurhat Bomb Scare
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy