Advertisement
২১ ডিসেম্বর ২০২৪
Cyclone Remal Aftermath

বৃষ্টিপাত হল অল্পই, রেমাল থেকে রেহাই

রেমালের প্রভাবে বীরভূমে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভবনার কথা শুনিয়েছিল আবহাওয়া দফতর।

বৃষ্টির সময়। রামপুরহাট শহরে সোমবার। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম

বৃষ্টির সময়। রামপুরহাট শহরে সোমবার। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম sabyasachi.islam@abp.in

নিজস্ব সংবাদদাতা
সিউড়ি শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২৪ ০৯:২৯
Share: Save:

পূর্বাভাস মেনে রবিবার রাতে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল আছড়ে পড়েছিল। কলকাতা-সহ উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ঘূর্ণিঝড়ের ভাল রকম প্রভাব পড়লেও বীরভূমে রেমালের তেমন প্রভাব পড়ল না। সোমবার হলুদ সতর্কতা-সহ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও সে ভাবে বৃষ্টি হয়নি এ দিন।

বীরভূমের ওসি (বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর) অনির্বাণ মণ্ডল জানিয়েছেন, কোথাও কোনও সমস্যা হয় না জেলায়। আর ভয়ের কোনও কারণ নেই। জেলায় গড় বৃষ্টিপাত হয়েছে ১২.৩ মিলিমিটার। আবহাওয়া দফতরের তরফে যে পূর্বাভাস জারি হয়েছে, সেখানে সোমবার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দেখালেও, মঙ্গলবার থেকে জেলাকে ‘গ্রিন’ জ়োনে দেখাচ্ছে। আবহাওয়া দফতরের তথ্য বলছে, রবিবার রাত সাগরদ্বীপ এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যবর্তী অংশে, বাংলাদেশের মোংলার কাছ থেকে ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে প্রবেশ করে। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলে ‘ল্যান্ডফল’। তারপর ক্রমশ উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। রেমাল শক্তি খুইয়ে প্রবল থেকে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। ফলে বীরভূমের জন্য আর সমস্যা নেই।

প্রসঙ্গত, রেমালের প্রভাবে বীরভূমে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভবনার কথা শুনিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। আচমকা বর্ষণে যাতে কোথাও কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য সতর্ক ছিল প্রশাসন। চিন্তা ছিল দুর্বল মাটির বাড়ি এবং অস্থায়ী আস্তানা। রবিবার সকাল থেকে ঘন মেঘ জমতে থাকায় এবং সন্ধ্যার দিকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বৃষ্টি শুরু হয়ে যাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা ছিল। তার জন্য পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে মাইকিং করে মানুষকে সচেতন করা হয়েছিল। রেমালের প্রভাবে অবশ্য কোনও ক্ষতি হয়নি।

এ দিন সকালের দিকে জেলার প্রায় সব এলাকায় মাঝারি বৃষ্টি হলেও বিকেলের দিকে তা থেমে যায়। কিছু এলাকায় ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গে অবশ্য দমকা হাওয়া ছিল। তবে, তাতে ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এ দিন বৃষ্টিপাত বেশি হয়েছে মুর্শিদাবাদ লাগায়ো নলহাটিতে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২৪.৩ মিলিমিটার। বোলপুর, ইলামবাজার ও নানুরে বৃষ্টি হয়েছে যথাক্রমে ২০.২ মিলি, ২২.৪ মিলি এবং ১৯.২ মিলিমিটার। বাকি অংশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেক কম। দিনভর মেঘলা আকাশের সঙ্গে দমকা হাওয়া ছিল। সপ্তাহের প্রথম দিন হলেও লোকজন বাড়ি থেকে কমই বের হয়েছেন।

এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে যেটুকু বৃষ্টি হয়েছে, তাতে লাভ বেশি হয়েছে বলে মনে করছে কৃষি দফতর। রেমাল আসার আগেই বোরো ধান তুলে ফেলেছেন চাষিরা। ভারী বৃষ্টি হলে ক্ষতি হতে পারত একমাত্র তিলচাষে। সেটা হয়নি। প্রাক বর্ষার আগে এই বৃষ্টি আমন ধানের বীজতলা তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা নিতে পারে মনে করছেন কৃষি আধিকারিকেরা।

অন্য বিষয়গুলি:

Birbhum
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy