আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার। —নিজস্ব চিত্র।
আরজি কর-কাণ্ডে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার তাঁরই মন্ত্রিসভার এক সদস্য সে বিষয়ে ‘সাবধানবাণী’ শোনালেন। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার যেন ‘ভুলের শিকার’ না হন, মমতার সুরে সুর মিলিয়ে সে কথাই বললেন রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। তাঁর মতে, আরজি করের ঘটনার পিছনে আর কেউ রয়েছে। সিবিআই যথাযথ তদন্ত করলে তা সামনে আসবে। চন্দ্রনাথের আরও মত, তদন্তের ভুলে ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় (ভবানীপুর ধর্ষণকাণ্ডে ফাঁসির শাস্তি পাওয়া আসামি)-এর মতো পরিণতি হতে পারে আরজি কর-কাণ্ডে ধৃতের।
গত ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এক চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ ওঠে, তাঁকে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে দেশ জুড়ে আন্দোলন শুরু হয়। ন্যায়বিচারের দাবিতে আন্দোলন জারি রেখেছে নাগরিক সমাজ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোও। সেই প্রেক্ষিতেই এ বার মুখ খুললেন রাজ্যের কারামন্ত্রী। শুক্রবার বিকেলে সিউড়ি পুরসভার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে চন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘দেখতে হবে ধৃত যেন ধনঞ্জয় না হয়ে যায়।’’ তিনি এ-ও বলেন, ‘‘অতীতে ধনঞ্জয়কে যে ভাবে ফাঁসির কাঠে ঝুলতে হয়েছে, সেখান থেকে অনেক পয়েন্ট (সূত্র) বেরিয়ে আসছে। ধনঞ্জয় দোষী ছিল কি না সন্দেহ রয়েছে। তাই আরজি করের ঘটনায় ধৃত আদৌ দোষী কি না, না কি তার পিছনে আর কেউ রয়েছে, তা তদন্তসাপেক্ষ।’’ পাশাপাশি সিবিআই তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছিলেন, সেই সময় পার হয়ে গিয়েছে। এখনও তো তেমন কিছু মিলল না।’’
বস্তুত, আরজি করের ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মুখেও ধনঞ্জয় প্রসঙ্গ শোনা গিয়েছিল দিন কয়েক আগে। ১৯৯০ সালে ভবানীপুর ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত ধনঞ্জয়ের ফাঁসি হয়েছিল ২০০৪ সালের ১৪ অগস্ট। আরজি করের ঘটনার প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘একটাই শাস্তি। ফাঁসি দিয়ে দাও, যাতে এক জনকে ফাঁসি দিলে অন্যেরা কিছু করার আগে ভয় পায়।’’ তার পরেই মমতা বলেছেন, ‘‘কিন্তু এটা আমি নিশ্চয়ই বলব, প্রকৃত দোষী যেন শাস্তি পায়। নিরাপরাধ যেন (শাস্তি) না পায়। কারণ, এখন ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের কেসটা প্রতি দিন লেখা হচ্ছে।’’ কারামন্ত্রীর অভিযোগ, আরজি করের ঘটনা নিয়ে ‘নোংরা রাজনীতি’ করছে বিরোধীরা। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি এই ইস্যুতে নোংরা রাজনৈতিক খেলা খেলতে নেমেছে। আমাদেরও আইটি সেলের দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের এর প্রতিবাদ করতে হবে।’’
কারামন্ত্রীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে খোঁচা দিয়েছে পদ্মশিবির। বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ‘‘সিভিক ভলান্টিয়ারকে ধনঞ্জয় বানিয়ে দিয়ে সন্দীপদের (আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ) এনজয় করার সুযোগ করে দেওয়ার পরিকল্পনা হচ্ছে। তবে বিজেপি আরজি করের ঘটনায় নিয়ে রাজপথে রয়েছে। ন্যায়বিচারের দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলছে এবং চলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy