প্রতীকী ছবি।
জেলা নেতৃত্বের কাছে চিঠি, পুরসভা চত্বরে বিক্ষোভ কর্মসূচির পরে, এ বার পুরুলিয়ার ঝালদার বর্তমান ও প্রাক্তন— দুই পুর-প্রশাসকের বিরুদ্ধেই পোস্টার পড়ল ঝালদা শহরে। বুধবার সকালে ঝালদা পুর-ভবনের সঙ্গে শহরের বিভিন্ন রাস্তার দেওয়ালে পোস্টার চোখে পড়েছে। কিছু পোস্টারে সরাসরি প্রাক্তন পুর-প্রশাসক প্রদীপ কর্মকারের নাম থাকলেও অন্য পোস্টারগুলিতে বর্তমান পুর-প্রশাসক সুরেশ আগরওয়ালের দিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে বলে দাবি।
পাশাপাশি, এ দিন কিছু দাবি নিয়ে পুরসভা চত্বরে অবস্থান-বিক্ষোভে শামিল হন কয়েকজন অস্থায়ী সাফাইকর্মী। পরে পুর-প্রশাসক তাঁদের দাবিগুলি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে অবস্থান ওঠে।
তবে এ দিন পুর-প্রশাসকদের নিয়ে পোস্টার ঘিরে দিনভর সরগরম ছিল ঝালদা শহর। পুর-ভবনের গায়ে প্রাক্তন পুর-প্রশাসক প্রদীপবাবুর বিরুদ্ধে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। এ দিকে, শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের একটি দেওয়ালে সাঁটানো পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘রাজস্থানি চেয়ারপার্সন হায় হায়’। জেলার রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের অনুমান, পুর-প্রশাসক সুরেশবাবুর পূর্বসূরীরা রাজস্থান থেকে ঝালদায় এসেছিলেন। তাই পোস্টারের লেখা তাঁর দিকেই ইঙ্গিত করছে।
‘পোস্টার-কাণ্ডের’ জন্য সুরেশবাবুর দিকেই আঙুল তুলেছেন প্রদীপবাবু। প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সুরেশবাবুর পাল্টা দাবি, পোস্টারের ঘটনায় তাঁর উস্কানি থাকলে তাঁর বিরুদ্ধেও পোস্টার পড়ার কথা নয়। এর পিছনে কার হাত রয়েছে, তা ঝালদার মানুষ স্পষ্ট বুঝতে পারছেন।
এ দিকে, পুরসভার এক কর্মী সুভাষ লাহিড়ী, প্রাক্তন পুর-প্রশাসকের বিরুদ্ধে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন পুলিশে। তাঁর অভিযোগ, ‘‘প্রদীপবাবু গত সোমবার রাতে ফোনে গালিগালাজ করার পাশাপাশি, প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছেন।’’ কথোপকথনের ‘অডিয়ো ক্লিপ’-ও (সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) তাঁর কাছে রয়েছে বলে দাবি ওই কর্মীর। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
অভিযোগ প্রসঙ্গে যদিও প্রদীপবাবুর দাবি, ‘‘ওই কর্মী পুরসভার মহিলা কর্মীদের কটূক্তি করেছিলেন। খবর পেয়ে আমি মাথা গরম করে কিছু কথা বলে ফেলেছি।’’ তবে কটূক্তির অভিযোগ মানতে চাননি সুভাষবাবু। ঘটনা নিয়ে সুরেশবাবুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘লজ্জাজনক ঘটনা।’’ এই মন্তব্য নিয়ে প্রদীপবাবুর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি গুরুপদ টুডু বলেন, ‘‘ঝালদা শহরে দলের একটা সমস্যা চলছে। বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। আশা করছি, আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমস্যা মিটবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy