প্রতীকী ছবি।
নানুরের রামকৃষ্ণপুরে বিজেপি কর্মীকে গুলি করে খুনের অভিযোগে তৃণমূলের তিন নেতাকে গ্রেফতার করা হল। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন তাকোড়া-রামকৃষ্ণপুর বুথ কমিটির সভাপতি আলো চৌধুরী ওরফে আলমগির মুন্সী, বুথ কমিটির সদস্য তুফান দাস ও সন্তোষ মাঝি। নিহতের পরিবারের তরফে দায়ের করা লিখিত অভিযোগে নাম রয়েছে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খান, থুপসড়া অঞ্চল কমিটির সভাপতি বাপ্পা চৌধুরী, নানুর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ অসিত ঘোষ, থুপসড়া পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান মাখন আলি-সহ ১১ জন তৃণমূল নেতা-কর্মীর। পুলিশ জানায়, অভিযুক্তদের মধ্যে স্বপন মেটের বাড়ি থুপসড়া পঞ্চায়েতের হুড়মুড় গ্রামে। বাকিরা তাকোড়া ও রামকৃষ্ণপুরের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত আলো চৌধুরী ২০১০ সালে নিহত তৃণমূলের ব্লক সাধারণ সম্পাদক মুন্সী নুরুল ইসলাম ওরফে সোনা চৌধুরীর ভাইপো। সোনা চৌধুরীর ছেলে বাপ্পা। তাঁর মা বিউটি বিবির অভিযোগ, ‘‘রাজনৈতিক আক্রোশে আমার ছেলে, ভাসুরের ছেলে-সহ অন্যদের ফাঁসানো হয়েছে।’’
বিজেপির নানুর মণ্ডল কমিটির সভাপতি বিনয় ঘোষ বলেছেন, ‘‘পায়ের তলার মাটি হারানোর আশঙ্কায় তৃণমূল আমাদের দলের কর্মীকে খুন করেছে। এখন অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। ওই ঘটনার মাথা আব্দুল কেরিম খানকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না৷’’
ওই ঘটনার বিষয়ে জেলার এসপি শ্যাম সিংহ বলেন, ‘‘নানুরে সংঘর্ষ ও খুনের ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা রুজু করা হয়েছে। খুনের অভিযোগে তৃণমূল নেতাদের নাম যেমন রয়েছে, সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের অভিযোগ কয়েক জন বিজেপি নেতার নামও রয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। দোষী হলে কেউ ছাড় পাবেন না।’’
নানুর থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বরূপ গড়াইয়ের খুন ও রামকৃষ্ণপুরে পতাকা টাঙানো ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি পৃথক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শনিবার স্বরূপবাবুর খুড়তুতো দাদা অনুপ গড়াই তৃণমূলের জেলা কমিটির সদস্য তথা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খান-সহ ১০ জন দলীয় নেতার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন। রামকৃষ্ণপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় দু’পক্ষের ১৮ জনের নাম রয়েছে। ওই ঘটনায় আলো চৌধুরীর স্ত্রী সুবনা বিবির দায়ের অভিযোগে বলা হয়েছে, বিজেপি কর্মীরা মাঝরাস্তায় আলো চৌধুরীকে মারধর করেন। তিনি বেহুঁশ হয়ে রাস্তায় পড়ে যান। তার পরে ২০০ জন তাঁদের বাড়িতে হামলা চালায়। ওই অভিযোগে নাম রয়েছে বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল, অনুপম হাজরা-সহ ১৩ জনের।
খুনের ঘটনায় দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য জানান, ‘‘শুধু আমাদের নেতা-কর্মী কেন, কারও নামে যে কোনও অভিযোগ হতেই পারে। কিন্তু দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত অভিযোগ প্রমাণিত হয় না। দোষী প্রমাণিত হলে তখন মেনে নেব আমাদের দলের নেতা-কর্মীরা খুনের ঘটনায় জড়িত।’’ একই মন্তব্য করেছেন কেরিম খানও। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। যথাসময়ে তা প্রমাণিত হবে।’’
সহ-প্রতিবেদন: দয়াল সেনগুপ্ত
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy