প্রতীকী ছবি
রেস্তোরাঁয় খেতে বসে খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন একদল পর্যটক। আর এতেই ধুন্ধুমার কান্ড ঘটল শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরির একটি রেস্তোরাঁতে। রবিবার শান্তিনিকেতনে ঘুরতে এসে দুপুরবেলা খাবারের জন্য সোনাঝুরির একটি রিসর্টের রেস্তোরাঁয় ঢোকেন শিলিগুড়ি থেকে আসা একদল পর্যটক। তাঁদের অভিযোগ, ঠান্ডা ও বাসি খাবার পরিবেশন করা হয়। তা খেতে না পেরে মেনুলিস্ট দেখে ফুলকপির তরকারি চান কয়েকজন। তা পাওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। দু’পক্ষের তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পরেই ওই রিসর্টের মালিক ঘটনাস্থলে এসে পর্যটকদের উপরে চড়াও হন বলে অভিযোগ। খাবারের টেবিল উল্টে দেওয়া হয়। মারধরও করা হয় পর্যটকদের এমনই অভিযোগ দায়ের হয় শান্তিনিকেতন থানায়। রেস্তোরাঁর ম্যানেজারকে পুলিশ আটক করেছে। এই ঘটনায় আতঙ্কিত পর্যটকেরা জানান, রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতনে যে ভাষায় তাঁদের আক্রমণ করেছেন ওই রিসর্টের কর্মী থেকে মালিক তা বলার মতো নয়। কিন্তু খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলায় এমন মারধরের কারণ কি? ওই রেস্তোরাঁর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্যটকদের দাবিমতো খাবার পরিবেশন করা হয়েছিল, কিন্তু খাবার নিয়ে তাঁরা খুঁতখুঁত করছিলেন গোড়া থেকেই। তারপর পর্যটকেরাই তাঁদের মারধর করেছেন। যদিও ওই পর্যটক দলের মধ্যে থাকা
মধুমিতা লাহা বলেন, ‘‘শান্তিনিকেতন ঘুরতে ঘুরতে খিদে পেয়ে দিয়েছিল। বেলাও অনেকটা হয়েছিল। সোনাঝুরির ওই রিসর্টের রেস্তোরাঁয় খাবারের খোঁজ করলে তাঁরা জানান মেনুলিস্টে থাকা সবকিছু পাওয়া যাবে। কিন্তু ঠান্ডা ডাল ও জল মেশানো আলুপোস্ত দেওয়া হয়। মেনুলিস্ট দেখে ফুলকপি চাইতে রিসর্টের মালিক মদ্যপ অবস্থায় এসে গালিগালাজ করেন। মহিলাদের হেনস্থা ও মারধর করা হয়।’’ এ দিনের ঘটনায় হতবাক ভিন জেলার পর্যটকেরা। তাঁদের অভিযোগ, রিসর্টের মালিক নিজের নাম গনেশ ঘোষ বলে পরিচয় দিয়ে মারমুখী হয়ে খাবারের টেবিল উল্টে দেন। চারদিক থেকে অন্য কর্মীদের নিয়ে ঘেরাও করে তাঁদের মারধর করা হয়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পর্যটকদের দলে থাকা মহিলারা।
পুলিশ জানিয়েছে, মালিককে পাওয়া না গেলেও আপাতত আটক করা হয়েছে রিসর্টের ম্যানেজার সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁর দাবি, ‘‘পর্যটকেরা খাবার নিয়ে নানা কথা বলছিলেন। ওঁরা আমাদের মারধর করেছেন। আমরা কাউকে মারিনি। ওঁরা মিথ্যা অভিযোগ করছেন।’’ জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। শান্তিনিকেতনে এই ধরনের ঘটনা অনভিপ্রেত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy